শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মিটফোর্ডের নির্মমতায় ভাষা হারিয়ে ফেলেছি : ডা. শফিক ছাত্ররা ঘরে ফিরে যায়নি, জুলাইও শেষ হয়নি : হাসনাত আব্দুল্লাহ জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস অনুমোদন ২৪এর শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি:মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী আফগানিস্তানের তুরগন্দি-হেরাত রেলওয়ে প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের নতুন চুক্তি স্বাক্ষর ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির  ৪৫ বছরের ইমামকে মুসল্লিদের রাজকীয় বিদায় দিবালোকে পাথর মেরে হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি ছাত্র জমিয়তের মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা আলমডাঙ্গায় আল মাহমুদের জীবন ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাসভা

জীবন পাল্টে দিতে পারে কুরআনের পাঁচ আয়াত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম।।

বর্তমান যুগে আমাদের মধ্যে অনেকে হতাশা নিরাশা আর উদ্বেগ কাজ করে। গোটা পৃথিবীই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আমরা প্রতিনিয়তই মোকাবিলা করছি বিভিন্ন প্রতিকূলতার। এ পরিস্থিতিতেও আপনি স্থির ও শান্তির খোঁজ পেতে অবশ্যই আল্লাহর কালাম তথা কুরআনে চোখ রাখতে পারেন।

আমাদের এ ক্ষণস্থায়ী জীবনে সমস্যার শেষ নেই। সুখ নেই শান্তি নেই ভালোবাসা নেই। এ সমস্যাগুলোর থেকে অনেকে উত্তরণের পথ খোঁজে। বস্তুবাদী জীবনে পুরো বিশ্বকে এগিয়ে নিয়ে গেলেও আমি ভাবছি আমি অন্ধকারের প্রান্তে পড়ে আছি। বিজ্ঞান প্রযুক্তি মানুষকে এমন এক পৃথিবী দেখাচ্ছে যা আমাদেরকে দিন দিন মানসিক অসুস্থ করে তুলছে। আমাদের মানসিকভাবে এমন দুর্বল করে তুলছে যে আমরা নানান সমস্যা থেকে উত্তরণের বা মোকাবেলা করার কোনো ক্ষমতা পাই না। এছাড়াও জীবনে আরও অনেক সমস্যা রয়েছে, যেমন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কাজ করতে পারি না। নেতিবাচক চিন্তাভাবনা, আর্থিক সমস্যা ইত্যাদি।

এ সমস্ত সমস্যা কাটিয়ে ওঠতে আল্লাহর পবিত্র কালাম কুরআনের কয়েকটি আয়াতই যতেষ্ট। এ আয়াতগুলোর দিকে গভীরভাবে তাকালে দেখতে পাবো পুরো জীবনের সুখ সমৃদ্ধি আসলে বেশি কিছুর প্রয়োজন হয় না। কুরআনের পাঁচটি আয়াতই আমাকে চলার পথ দেখিয়ে দিতে পারে।

১. মনে রাখতে হবে প্রতিটি মানুষকে পরীক্ষা করা হবে

কুরআনে আল্লাহ বলেন, মানুষ কি মনে করে যে, তারা একথা বলেই অব্যাহতি পেয়ে যাবে যে, আমরা বিশ্বাস করি এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবে না? (সুরা আনকাবুত ২৯:২)

২. আল্লাহর থেকে বড় কোনো ক্ষমতাবান নেই। তিনি, একা, আমাদের জন্য তিনিই যথেষ্ট। কেবল তাঁর উপরই ভরসা করে সব বিষয়ে।

আল্লাহ বলেন, তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন। (সুরা তালাক ৬৫:৩)

৩. দয়া ও নম্রতারও খেয়াল রাখা 

আল্লাহ বলেন, নম্র কথা বলে দেয়া এবং ক্ষমা প্রদর্শন করা ঐ দান খয়রাত অপেক্ষা উত্তম, যার পরে কষ্ট দেয়া হয়। আল্লাহ তা'আলা সম্পদশালী, সহিঞ্চু। (সুরা বাকারা ২:২৬৩)

৪. আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস অটুট রেখে কাজ করা, সব কাজে একমাত্র তার থেকে সাহায্য চাওয়া 

আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে। (সুরা বাকারা ২:১৮৬)

৫. মানুষের ব্যাপারে খারাপ ধরাণা, ঘৃণা ও নিন্দা করা থেকে বিরত থাকুন

মুমিনগণ, তোমরা অনেক ধারণা থেকে বেঁচে থাক। নিশ্চয় কতক ধারণা গোনাহ। এবং গোপনীয় বিষয় সন্ধান করো না। তোমাদের কেউ যেন কারও পশ্চাতে নিন্দা না করে। তোমাদের কেউ কি তারা মৃত ভ্রাতার মাংস ভক্ষণ করা পছন্দ করবে? বস্তুতঃ তোমরা তো একে ঘৃণাই কর। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তওবা কবুলকারী, পরম দয়ালু। (সুরা হুজুরাত ৪৯:১২)

সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইসলাম একটি শান্তির ধর্ম। এটি কেবল একটি ধর্মই নয়, এটি একটি দ্বীন, যা একটি সম্পূর্ণ জীবনবিধান। যারা মাঝে জীবনের সবসমস্যাগুলির সমাধান আছে। আমরা যদি আল্লাহর বাণী মেনে চলি তবে আমরা আমাদের সমস্যাগুলি সহজেই সমাধান করতে পারবো। জীবনে হতাশা আসবে না। রিজিকের কমতি হবে না। সূত্র: ইসলামিক ইনফরমেশন

-এটি


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ