শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


রাস্তায় ফল বিক্রি করা পিএইচডি ডিগ্রিধারী মুসলিম তরুণীর বক্তব্য ভাইরাল

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: রাস্তার ধারের ফল বিক্রেতা তিনি৷ এই তরুণীর ঝরঝরে ইংরেজিতে বারংবার লকডাউনের প্রতিবাদ করছেন সংবাদমাধ্যমের সামনে৷ এই দৃশ্য দেখে থমকে গিয়েছিলেন ভারতের ইন্দোর শহরের পথচলতি মানুষ৷ ধীরে ধীরে তরুণীকে ঘিরে ভিড় বাড়তে থাকল৷ শেষ পর্যন্ত ওই তরুণীই জানালেন, ফল বিক্রি করলেও তার পিএইচডি ডিগ্রি রয়েছে৷

বুধবার থেকেই রাইসা আনসারি নামে ওই তরুণীর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে৷ ইন্দোর শহরের মালওয়া মিল এলাকায় ফল বিক্রি করেন ওই তরুণী৷ করোনা সংক্রমণ রুখতে ইন্দোরে বারবার লকডাউন জারি করা নিয়ে প্রশাসনিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ করছিলেন তিনি৷ তার অভিযোগ, ঘুরিয়ে ফিরিয়ে লকডাউন জারি হওয়ায় ওই এলাকার ফল এবং সবজি বিক্রেতাদের উপার্জন বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে৷

রাইসা জানিয়েছেন, তিনি পদার্থবিদ্যায় এমএসসি করেছেন৷ ইন্দোরের দেবী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১১ সালে মেটেরিয়াল সায়েন্স নিয়ে তিনি গবেষণা শেষ করেছেন বলেও দাবি করেন ওই তরুণী৷

ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, 'আজ শহরের একদিকে লকডাউন করা হচ্ছে তো কাল অন্যপ্রান্ত লকডাউন চলছে৷ এর ফলে বাজারে কার্যত কোনো ক্রেতাই নেই, বেচাকেনাও বন্ধ৷ আমরা নিজেদের পরিবারের খাবার জোগাব কী করে?'

রাইসার দাবি, ওই চত্বরে তার মতো অনেকেই পারিবারিক সূত্রে ফলের বিক্রির পেশায় এসেছেন৷ কিন্তু উচ্চশিক্ষিত হয়েও কেন তাকে এভাবে ফল বিক্রির পেশাকে তিনি বেছে নিলেন?

ক্ষুব্ধ রাইসার দাবি, কোনো জায়গায় চাকরি না পেয়েই বাধ্য হয়েই ফল বিক্রি শুরু করতে হয়েছে তাকে৷ আগে তার বাবা এই ব্যবসা দেখাশোনা করতেন৷ রাইসা বলেন, 'কোথাও কোনো চাকরি জোটাতে পারিনি৷ তার উপর এখন তো সবাই বলছে যে মুসলিমরাই নাকি করোনা ছড়ানোর জন্য দায়ী৷ যেহেতু আমার নাম রাইসা আনসারি, তাই কোনো কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা সংস্থাই আমাকে চাকরি দিতে রাজি নয়৷'

দেবী আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক রাজকুমার চৌহানও রাইসাকে চিনতে পেরেছেন৷ তিনি জানিয়েছেন, রাইসা খুবই পরিশ্রমী একজন ছাত্রী ছিলেন৷ মাঝেমধ্যেই তার সঙ্গে রাইসার দেখাও হতো৷ স্মৃতি হাতড়ে ওই অধ্যাপক বলেন, 'আমার মেয়ের বিয়ের আশীর্বাদ অনুষ্ঠানে ও এক ঝুড়ি ফল উপহার দিয়েছিল৷' যদিও কী কারণে রাইসার মতো একজন ছাত্রী ফল বিক্রির পেশাকে বেছে নিল, তা ভেবেই অবাক হচ্ছেন ওই অধ্যাপক৷

সূত্র: নিউজ১৮

এমডব্লিউ/


সম্পর্কিত খবর