শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


তিনিও ছিলেন বেফাক সভাপতি

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জহির উদ্দিন বাবর।।

শায়খুল হাদিস আল্লামা নূরউদ্দীন গহরপুরী রহ.-এর স্মারকগ্রন্থের কাজ করতে গিয়ে বেফাকের সভাপতি হিসেবে তিনি কতটা নিবেদিত ছিলেন সেই গল্প অনেকের মুখে শুনেছি। ১৯৯৬ থেকে ২০০৬, প্রায় ১০ বছর তিনি ছিলেন বেফাকের সভাপতি। এই সময়ে বেফাকের কোনো বিষয় তার নখদর্পণের বাইরে ছিল না। পিয়ন নিয়োগ থেকে নিয়ে পরীক্ষা পর্যন্ত সবই খোঁজখবর রাখতেন।

ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ঢাকায় এলেও লম্বা সময় কাটাতেন বেফাক অফিসে। তিনি জীবনে বেফাক থেকে কিছু নেননি, তাঁর দেওয়ার ফিরিস্তি অনেক দীর্ঘ। তিনি যখন দায়িত্ব পালন করেন তখন বেফাকের ফান্ডে কোটি কোটি টাকা ছিল না। আর্থিকভাবে অনেক টানাপোড়েনের একটি প্রতিষ্ঠান ছিল। সভাপতি হিসেবে সহযোগিতার বড় অংশটা নিজের পকেট থেকে দিতেন। এজন্য হেলিকপ্টার ভাড়া তো দূরের কথা, রিকশা ভাড়াও সাধারণত বেফাক থেকে নিতেন না।

সভাপতি হিসেবে বেফাকের কোনো মিটিংয়ে অনুপস্থিত ছিলেন এমনটা কেউ হয়ত বলতে পারবেন না। বেফাকের প্রতিটি সনদে নিজে সই করতেন। তার সইয়ের জন্য সনদ দিতে দেরি হয়েছে এমনটা ঘটেনি। তার কারণে কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বিলম্বিত হয়েছে এমন ঘটনাও বেফাক সংশ্লিষ্ট কেউ স্মরণ করতে পারেন না।

দায়িত্ব পালনকালে তার বয়সও ছিল সত্তরের উপরে। কিন্তু একটি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নেয়ার মতো সক্রিয়তা, সক্ষমতা, আন্তরিকতা সবই ছিল। অন্তত কেউ যেন অনৈতিকভাবে ব্যবহার করতে না পারে সেই ব্যাপারে সতর্কতা ও সচেতনতার কোনো ঘাটতি ছিল না। এজন্য সর্বমহলে স্বীকৃত সচেতন এই বুজুর্গ কোনো ধান্দাবাজ ও মোসাহেববেষ্টিত হয়ে পড়েননি। তাকে ঘিরে কোনো বলয় বা আঞ্চলিকতা গড়ে ওঠেনি।

আজ যখন প্রাণের প্রতিষ্ঠান বেফাক নিয়ে অভিযোগের অন্তহীন ডাল-পালা প্রতিদিন বিস্তার লাভ করতে দেখছি তখন প্রচণ্ডভাবে আল্লামা গহরপুরী রহ.-এর শূন্যতা অনুভব করছি। তার মতো নেতৃত্বই পারে বেফাকের হারানো গৌরব ফিরিয়ে দিতে! কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেই নেতৃত্ব চোখে পড়ছে না!!

লেখক: সভাপতি বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম

-এএ


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ