শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫ ।। ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ১৭ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
জাতিসংঘ মানবাধিকার অফিস অনুমোদন ২৪এর শহীদদের রক্তের সাথে গাদ্দারি:মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী আফগানিস্তানের তুরগন্দি-হেরাত রেলওয়ে প্রকল্পে ৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের নতুন চুক্তি স্বাক্ষর ত্রাণ নিতে গিয়ে প্রাণ গেছে ৮০০ ফিলিস্তিনির  ৪৫ বছরের ইমামকে মুসল্লিদের রাজকীয় বিদায় দিবালোকে পাথর মেরে হত্যায় সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জমিয়তের মিটফোর্ডে হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি ছাত্র জমিয়তের মসজিদে ঢুকে খতিবকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টা আলমডাঙ্গায় আল মাহমুদের জীবন ও সাহিত্য বিষয়ক আলোচনাসভা ঝিনাইদহে হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে বিএনপি’র সমাবেশ ও বিক্ষোভ ‘চাঁদা না পেয়ে পাথর মেরে মানুষ হত্যায় পুরো জাতি স্তম্ভিত’

মুসলিম ফুটবলারের চরিত্রে মুগ্ধ বিশ্ব

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বেলায়েত হুসাইন: চেলসির ফরাসি মিডফিল্ডার এনগোলো কান্ত। বরাবরই একজন ভদ্রলোক হিসেবে সবাই তাকে জানে। খ্যাতিমান ফুটবলার হয়েও নিরহংকারী জীবন-যাপনে প্রতিনিয়ত উদাহরণ সৃষ্টি করে চলেছেন তিনি।

এবার তার আরেক গুণের ব্যাপারে পরিচিত হল বিশ্ব- এনগোলো কান্ত যে, একনিষ্ঠ একজন বন্ধুও সেই কথা জানালেন তার একসময়ের সতীর্থ বর্তমানে দ্বিতীয় বিভাগের দল উইগান অ্যাথলেটিকের হয়ে খেলা ফরাসি ডিফেন্ডার সেড্রিক কিপরে।

তিনি জানিয়েছেন, একবার ঝামেলায় পড়লে নিজের বাসায় তাকে থাকতে দিয়েছিলেন কান্তে।

দু’জন তখন লেস্টার সিটিতে খেলতেন। পিএসজি থেকে কিপরে যখন লেস্টারে যোগ দেন তার এক বছর পর ফরাসি ক্লাব কাঁ থেকে ইংল্যান্ডে আসেন কান্তে। তখন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে কিছু সমস্যার কারণে বেশ যন্ত্রণায় ছিলেন কিপরে ও তার ভাই। কান্তেই তখন স্বপ্রণোদিত হয়ে এক মাস নিজের অ্যাপার্টমেন্টে থাকতে দেন এই দুজনকে।

কিপরে বলেন, 'লেস্টারে যখন খেলতাম, তখন কান্তের অ্যাপার্টমেন্টে আমি ও আমার ভাই এক মাস থেকেছি। সবাই এমন মহানুভবতা দেখাতে পারে না। কিন্তু কান্তে পেরেছিল। ওর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমি গর্বিত যে কান্তের মতো কারও সঙ্গে আমার এ জীবনে দেখা হয়েছে। ওর চেয়ে ভদ্র কাউকে আমি চিনি না।'

এর আগে কান্তের ব্যাপারে শোনা গেছে, স্টারবাকস বা আমাজনের মতো বৈশ্বিক ব্র্যান্ডের চেয়েও বেশি কর দিয়েছেন তিনি। কান্তে এতটাই লাজুক স্বভাবের যে, বিশ্বকাপ জেতার পরও ট্রফি নিয়ে উদযাপন করতে পারেননি!

পরে সতীর্থ স্টিভেন এনজনজি জোর করে তার হাতে ট্রফি ধরিয়ে দিয়ে উদযাপন করতে বলেন। সতীর্থের ঘুমের যাতে ব্যাঘাত না ঘটে, এ জন্য কান্তে ফজরের নামাজও নিঃশব্দে পড়েন বলে জানিয়েছিলেন তার সাবেক ক্লাবের এক সতীর্থ। নিয়মিত সাধারণ মানুষদের সঙ্গে মসজিদে নামজ পড়তে যাওয়া, হুট করে কোনো এক রেস্তোঁরায় গিয়ে ভক্তকে চমকে দেওয়া- এসব তো আছেই।

এককথায়, চেলসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপজয়ী এ মিডফিল্ডার সব মুসলিম খেলোয়াড়ের আদর্শ হতে পারে।

-এএ


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ