শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি ক্ষমার অযোগ্য

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:

বর্তমানে দেশে যেভাবে রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরি হচ্ছে এই অপরাধের সঙ্গে শুধু শাসকরাই জড়িত নয়, বরং জনগণও যে যখন সুযোগ পাচ্ছে, জাতীয় সম্পদ লুণ্ঠন করছে। আমার-আপনার এমন বহু কাজ আছে, যার ফলে জাতীয় কোষাগার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু আমরা তার কোনোই পরোয়া করছি না।

যেমন সরকার জনপ্রতিনিধিদের কে চাউল দিচ্ছে হত দরিদ্রদের মাঝে দেওয়ার জন্য সেখান থেকে তারা চাউল চুরি করছে। এটাও রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি। বিদ্যুৎ চুরি কোথাও থেকে অবৈধ সংযোগ নিয়ে নিলাম এবং তাকে ব্যবহার করতে শুরু করলাম। এটিও জাতীয় সম্পদ চুরির অন্তর্ভূত। আপনার বাসায় গ্যাসের চুলার অনুমিত আছে দুইটি আপনি ব্যবহার করছেন চারটি। এটিও জাতীয় সম্পদ চুরির অন্তর্ভুক্ত।

কিংবা টেলিফোন একচেঞ্জ কর্মকর্তার সঙ্গে খাতির পাতিয়ে তার মাধ্যমে দীর্ঘ কলগুলোকে ফ্রি করিয়ে নিলাম। এটিও জাতীয় সম্পদের চুরি। কিংবা বিনা টিকিটে রেলগাড়িতে ভ্রমণ করলাম বা নিম্ন শ্রেণীর টিকিট ক্রয় করে উচ্চ শ্রেণীতে ভ্রমণ করলাম। এটিও জাতীয় সম্পদ চুরির অন্তর্ভূক্ত।

জাতীয় সম্পদের এই চুরি সাধারন চুরি অপেক্ষ অনেক বেশী মারাত্মক। কারন একজন মানুষ যদি কারও ঘরে চুরি করে, তাহলে তা প্রতিকারের সুযোগ থাকে। যদি কখনোও তার মনে অনুতাপ জাগ্রত হয়, তাহলে ইচ্ছে করলে সহজেই এই অপরাধ মার্জনা করিয়ে নেওয়া সম্ভব।

চুরি করা সম্পদ মালিককে ফিরিয়ে দিল কিংবা তার থেকে মাফ করিয়ে নিল যে, ভাই আমি অন্যায় করে ফেলেছি, আপনি আমাকে ক্ষমা করে দিন আর তিনি ক্ষমা করে দিলেন। তাহলে ইনশাআল্লাহ ক্ষমা পেয়ে যাবে। কিন্তু জাতীয় কোষাগার কোটি কোটি মানুষের সম্পদ। এই সম্পদে রাষ্ট্রের প্রতিজন নাগরিকের মালিকানা আছে।

এমতাবস্থায় কেউ যদি এই সম্পদ চুরি করে কিংবা সুযোগ পেয়ে পাওনার চেয়ে বেশি নেয়, তাহলে মনে অনুতাপ জাগ্রত হওয়ার পর প্রতিকারের প্রয়োজন অনুভূত হলে কার নিকট থেকে ক্ষমা নিবে? কার কাছে গিয়ে ধর্ণা দিবে? দেশের নাগরিক যদি বিশ কোটি হয়, তাহলে বিশ কোটি মানুষ থেকেই ক্ষমা নিতে হবে।

অন্যথায় এই চুরির দায় থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না। সেজন্যই বলছি, সাধারন চুরির প্রতিকার সহজ। কিন্তু জাতীয় কোষাগারে চুরি করার পর তার থেকে ক্ষমা পাওয়া খুবই কঠিন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের হেফাযত করুন।

-এটি


সম্পর্কিত খবর