শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫


আবারও ৫ দিনের রিমান্ডে পাপিয়ার দুই সহযোগী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের (বর্তমানে বহিষ্কৃত) সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী স্বামী মুহা. মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী জঘন্যতম অপরাধে জড়িত বলে সিএমএম আদালতে একটি মামলায় রিমান্ড ফেরত প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আজ রোববার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহা. সাইফুল ইসলাম এ প্রতিবেদন দিয়েছেন।

এদিকে এ দম্পতির দুই সহযোগী সাব্বির খন্দকার ও শেখ তায়্যিবা নুরের ফের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুনরায় ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে একইদিন ঢাকা মহানগর হাকিম মুহাম্মাদ দিদার হোসেন এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও প্রতিরোধ টিমের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মুহা. সাইফুল ইসলাম ফের এ রিমান্ড আবেদন করেন।

পাপিয়া ও তার স্বামী সম্পর্কে উল্লেখ করেন, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে জঘন্যতম অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে মর্মে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়। প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই-বাছাই অব্যাহত আছে। আসামি ও তাদের সহযোগীরা দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্র গঠন করে অবৈধ মাদক, অস্ত্র ব্যবসা, চোরা চালান, অর্থের বিনিময়ে জমি জখল, বেদখল ও অনৈতিক ব্যবসাসহ নানাবিধ অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত বলে জানা যায়।

অপরাধ মূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে তারা বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছে। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল ও স্বল্প শিক্ষিত নারীদের চাকরির প্রলোভনের মাধ্যমে সংগ্রহ করে তাদের দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত ও ব্যবহার করে তদবীর বাণিজ্য করে আর্থিকভাবে লাভবান হয়েছে মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।

আরও উল্লেখ করা হয়, রাজধানীর একটি বিলাসবহুল হোটেলে আসামিরা গত বছর ১২ অক্টোবর থেকে ৩১ অক্টোবর ২০ দিন এবং চলতি বছর ৫ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সর্বমোট ৫১ দিনে ওই হোটেলের সবচেয়ে ব্যয় বহুল প্রেসিডেন্সিয়াল স্যুটসহ আরও দু’টি রুম ভাড়া নিয়ে অবস্থান করেন। ভাড়া বাবদ আসামিরা সর্বমোট ৮১ লাখ ৪২ হাজার ৮৮৭ টাকা হোটেল বিল পরিশোধ করেন। প্রতিদিন কম-বেশি আড়াই লাখ করে ৫১ দিনে মোট এক কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বারের বিল পরিশোধসহ কম-বেশি সর্বমোট দুই কোটি ৮ লাখ ৯২হাজার ৮৮৭ টাকা ব্যয় করেন। আসামিদের দৃশ্যমান আয় ও ব্যয়ের সঙ্গে চরম অসঙ্গতিপূর্ণ। আসামিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগসহ প্রাপ্ত তথ্যাদি যাচাই করে দেখা যাচ্ছে। আসামিরা বর্তমানে অস্ত্র আইনের মামলায় রিমান্ডে রয়েছেন।

-এএ


সম্পর্কিত খবর