|| মুহাম্মদ মিজানুর রহমান ||
বাংলাদেশে দিন দিন বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। কিন্তু যারা বুদ্ধিমান তারা চাকরির পেছনে না ছুটে খুঁজে নিচ্ছেন আয়ের বিকল্প পথ। বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার অনেক কৌশল উদ্ভাবিত হয়েছে। তবে অনলাইনে নানা উপায়ে আয় করার সুযোগ থাকলেও এখানে অনেকে প্রতারণারও শিকার হচ্ছেন। তাই অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে আপনি কোন প্ল্যাটফর্ম ধরে এগোচ্ছেন সে বিষয়ে অবশ্যই সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।
এক. ফ্রিল্যান্সিং 
ফ্রিল্যান্সিং হচ্ছে মুক্ত পেশা। এটি অনলাইনে আয়ের সবচে জনপ্রিয় মাধ্যমও বটে। অনলাইনে বেশ কিছু ওয়েবসাইট আছে যেগুলোতে আছে বিভিন্ন ক্যাটাগরির কাজের সুযোগ। যে কেউ এখানে দক্ষতার উপরে ভিত্তি করে কাজ করতে পারেন। আপওয়ার্ক ডটকম, ফাইভার ডটকম, ওয়ার্কএনহায়ার ডটকম--এরকম কয়েকটি জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট রয়েছে। রয়েছে অফুরন্ত কাজের সুযোগও। একজন ফ্রিল্যান্সার তার কাজের ভিত্তিতে পেমেন্ট পেয়ে থাকেন। সেটা কত হতে পারে? তা নির্ভর করে তার দক্ষতার উপর। অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে লাখ লাখ টাকাও আয় করছেন। আপনিও যেকোনো একটি বেছে নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারেন আর সাজাতে পারেন আপনার ক্যারিয়ার। 
দুই. গ্রাফিক্স ডিজাইন 
অনলাইনে আয় করার ক্ষেত্রে আপনার জন্য একটি ভালো উপায় হচ্ছে গ্রাফিক্স ডিজাইন। যারা গ্রাফিক্স ডিজাইনে দক্ষ তারা এখানকার বিভিন্ন মার্কেট প্লেসে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে পারেন। গ্রাফিক্স ডিজাইন জনপ্রিয় হওয়ার কারণ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে গ্রাফিক্স ডিজাইনিং-এর চাহিদা সবচে বেশি। কারণ, একজন ডিজাইনার তার ডিজাইন করা টেম্পলেট একাধিকবার বিক্রি করতে পারেন।
তিন. অনলাইনে টিউশনি 
অনলাইনে টিউশনি বর্তমানে অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় একটি মাধ্যম। দিন দিন বাড়ছে এর চাহিদাও। শুধু দেশে নয়, বিদেশের মানুষদেরও আপনি অনায়াসে অনলাইন ক্লাস নিতে পারেন। যদি আপনি যেকোনো একটি বিষয়ে দক্ষ হন সেটাকেই আপনি টিউশন হিসেবে বেছে নিন। অনলাইনে টিউশনির সবচে বড় সুবিধা হচ্ছে একই সাথে আপনি অনেক জনকে পড়াতে পারবেন। এমনকি ক্লাসের ভিডিও তৈরি করে সেগুলো বিক্রি করেও মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব। 
চার. কনটেন্ট রাইটিং 
বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট প্লেসে কনটেন্ট রাইটারদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তাই যারা লেখালেখি করতে পছন্দ করেন কিংবা লেখালেখিতে যারা দক্ষ তারা কনটেন্ট রাইটার হয়ে অনলাইনে আয় করতে পারেন। বর্তমানে একজন ভালো কনটেন্ট রাইটারের আয়ও কম নয়। তবে এজন্য আপনাকে কোনো না কোনো বিষয়ে হতে হবে অভিজ্ঞ। আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো হয়ে থাকেন তবে এ সেক্টরে কাজের সুযোগ অনেক। লিখতে লিখতে আপনার দক্ষতা যেমন বাড়বে, বাড়বে আপনার আয়ও।
পাঁচ. সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আয় 
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন শুধু আমাদের যোগাযোগ ও বিনোদনের মাধ্যম নয়। এগুলো এখন বিপুলসংখ্যক মানুষের আয়েরও উৎস। ফেসবুক, টুইটার, ইনস্ট্রাগ্রাম ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়াগুলো ব্যবহার করে আপনি অনলাইন থেকে আয় করতে পারেন। অনলাইনে আয়ের আরেকটি জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে--ইউটিউব। এ সেক্টরে বর্তমানে অনেকেই বিভিন্ন ভিডিও কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয় হচ্ছেন, পাশাপাশি আয় করছেন মোটা অংকের টাকাও। তবে ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করতে হলে সবার আগে যে জিনিসটি প্রয়োজন সেটা হচ্ছে ক্রিয়েটিভিটি। তবে এখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ  বিষয় হচ্ছে-সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় জায়েজ নয় বলে হক্কানি ওলামারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
এসএকে/
 
                              
                           
                              
                           
                         
                              
                          
 
                        
                                                  
                                                  
                                               
                                                  
                                               
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                         
                                      
                                         
                               
                               
                              _medium_1759904896.jpg)