সচিবালয়ের ভেতরে-বাইরে ক্ষোভ— ইত্তেফাক পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন সংশোধনের অধ্যাদেশ জারির প্রতিবাদে টানা চতুর্থ দিনের মতো গতকাল মঙ্গলবারও দিনভর সচিবালয়ের ভেতরে বিভিন্ন স্তরের কর্মচারীরা বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন। এ সময় সচিবালয়ের বাইরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কড়া নিরাপত্তা ছিল। প্রধান ফটকে বিশেষায়িত বাহিনী সোয়াটও মোতায়েন ছিল। গতকাল সচিবালয়ে দর্শনার্থী প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার। এদিকে সচিবালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চলমান সংকট নিরসনে আট সদস্যের সচিব কমিটি গঠন করা হয়েছে। গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদকে। এই কমিটি বিক্ষোভরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে গতকাল বৈঠক করে। বৈঠকে আশ্বাস পেয়ে আজ বুধবার একদিনের জন্য আন্দোলন স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সরকারি কর্মচারীরা। অন্যদিকে 'সচিবালয় ও এনবিআরসহ প্রশাসনের সব স্তর থেকে দুর্নীতিবাজ ও 'ফ্যাসিবাদের দোসর' আমলাদের উৎখাতে ফ্যাসিবাদ উৎখাতযাত্রা' নামের একটি কর্মসূচি নিয়ে সোমবার মধ্য রাত থেকে সচিবালয়ের উলটো দিকে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন সংলগ্ন ফুটপাতে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে জুলাই মঞ্চ ও বিপ্লবী ছাত্র আন্দোলন। সেখানে আওয়ামী লীগের চরম দোসর হিসাবে ৪৪ জন আমলার নামের তালিকা ছবিসহ প্রকাশ করে প্রদর্শন করা হয়। তাদের অপসারণে এক সপ্তাহের আলটিমেটাম দিয়ে কর্মসূচি সমাপ্ত ঘোষণা করে সংগঠন দুটি। দলটির শীর্ষ নেতৃত্ব মনে করছে, এ নিয়ে সংশয়-সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। বিএনপি মনে করছে, নানাভাবে নির্বাচন বিলম্ব করার জন্য কিছু দৃশ্যপট তৈরি করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির নেতারা ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন। এখন পর্যন্ত সে ঘোষণা না আসায় তারা হতাশ। এ বিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জ্যেষ্ঠ সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, "সরকারের কাছে নির্বাচন বিষয়ে আমরা ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া আশা করেছিলাম। সেটি হয়নি। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার আলোচনার বিষয়ে তার প্রেস সচিবের মাধ্যমে সরকারের যে বক্তব্য পাওয়া গেছে, তাতে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে সুস্পষ্ট কোনও রোডম্যাপের ঘোষণা না থাকায় বিএনপি হতাশ হয়েছে।" GDP growth lowest since pandemic বা করোনা মহামারীর পর জিডিপি প্রবৃদ্ধি সর্বনিম্ন— দ্য ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি মাত্র তিন দশমিক ৯৭ শতাংশ হারে বেড়েছে, করোনা মহামারির সময় বাদ দিলে যা গত ৩৪ বছরে সবচেয়ে ধীর গতি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রাথমিক হিসাব বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে মহামারির ধাক্কায় প্রবৃদ্ধি তিন দশমিক ৭৫ শতাংশে নেমে গিয়েছিল। সেটি বাদ দিলে ১৯৯০-৯১ অর্থবছরের পর এটাই সবচেয়ে কম প্রবৃদ্ধি, যখন জিডিপি হার ছিল তিন দশমিক ২৪ শতাংশ। চলতি অর্থবছরে কৃষিখাতে প্রবৃদ্ধি এসেছে মাত্র এক দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তিন দশমিক ৩০ শতাংশ থেকে অনেকটাই কম। সেবা খাতেও প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়িয়েছে চার দশমিক ৫১ শতাংশে। Push-ins spark security, sovereignty concerns বা ভারত থেকে 'পুশ-ইন' বাড়ায় বাংলাদেশের নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব নিয়ে উদ্বেগ— নিউ এজ পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রোটোকল বা আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে 'পুশ-ইন' বা জোর করে মানুষ ঠেলে পাঠানোর ঘটনাগুলো বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা। তারা এ ধরনের কার্যকলাপকে আন্তর্জাতিক রীতিনীতির লঙ্ঘন এবং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের মতে, গত পাঁচই অগাস্ট আ'লীগ সরকার পতনের পর বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তন আসার কারণে বাংলাদেশকে চাপে রাখতে এই 'পুশ-ইন'কে ব্যবহার করছে ভারত। বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিপিএসএস)-এর প্রেসিডেন্ট ও সাবেক মেজর জেনারেল এ এন এম মুনিরুজ্জামান বলেন, "আন্তর্জাতিক ও আইনি প্রটোকল মেনে না মেনে ভারত যেভাবে ভারতে বসবাসকারী মানুষদের বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হচ্ছে, তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।" পুরোনো প্রযুক্তির গ্যাস মিটার গছিয়ে দিচ্ছে জাপান— সমকাল পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, জাপান থেকে পুরোনো প্রযুক্তির প্রিপেইড গ্যাস মিটার কিনছে বাংলাদেশ। সরকার টু সরকার (জিটুজি) পদ্ধতিতে এসব মিটার কেনার জন্য জাপান থেকে ঋণ নিতে হবে কঠিন শর্তে। ঋণ দেবে জাপান ব্যাংক ফর ইন্টারন্যাশনাল কোঅপারেশন (জেবিআইসি)। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হলে ঋণ যেন সংকটে না পড়ে, সে নিশ্চয়তাও চাইছে দেশটি। এই ঋণের আওতায় আট লাখ গ্যাস মিটার কিনতে বাংলাদেশের খরচ হবে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা। প্রতি মিটারের পেছনে ব্যয় হবে প্রায় ১২ হাজার টাকা। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আসন্ন জাপান সফরে এই চুক্তি সই হওয়ার কথা রয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরকারের প্রিপেইড মিটার স্থাপন নীতিমালা অনুযায়ী গ্রাহক পর্যায়ে স্মার্ট গ্যাস মিটার বসানোর নিয়ম রয়েছে। কিন্তু জাপানে তৈরি পুরোনো প্রযুক্তির (নন-স্মার্ট) গ্যাস মিটার নেওয়া হলে নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। এ জন্য প্রচলিত নীতিমালাও পরিবর্তন করতে হবে। এতে গ্রাহকের ভোগান্তি বাড়তে পারে। দুই আতঙ্ক এক ডেরায়— আজকের পত্রিকার এই প্রধান শিরোনাম অনুযায়ী, ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি থাকা পলাতক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন ওরফে ফতেহ আলীকে গতকাল মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। তার সঙ্গে একই বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আরেক শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী আবু রাসেল মাসুদ ওরফে মোল্লা মাসুদকেও। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজধানীর হাতিরঝিলে অভিযান চালিয়ে সুব্রত বাইনের দুই সহযোগী শুটার আরাফাত ও গাড়িচালক শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। দেড় মাস আগে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুরে একটি তিনতলা বাড়ির নিচতলায় গোপনে বসবাস করছিলেন সুব্রত বাইন ও তার সহযোগীরা। ওই বাড়ির ওপরতলায় ছাত্রদের মেসবাড়ি। নিচতলার ভাড়াটেদের চালচলন ছিল রহস্যজনক। প্রয়োজন ছাড়া বের হতেন না। দরজা- জানালা খোলা রাখতেন না। তবে ওপরতলায় ছাত্ররা থাকায় কারও মনে সন্দেহ জাগেনি। শিক্ষায় সংস্কার স্থিতিশীলতা না এলেও রাষ্ট্রীয় ব্যয় আগের মতোই— বণিক বার্তা পত্রিকার প্রধান শিরোনামে বলা হয়েছে, দেশের শিক্ষা খাতের ব্যয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই নানা দুর্নীতি-অনিয়মের অভিযোগ আছে। বিশেষত বিগত সরকারের সময়ে পরিচালন ব্যয়ে ক্ষমতাসীন ছাত্রসংগঠনকে চাঁদা দেয়া, আপ্যায়নসহ বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ব্যয় অন্তর্ভুক্ত করা, প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে বেশি মূল্যে কাজ নেয়া, কেনাকাটায় বাজারমূল্যের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি মূল্য দেখানোর মতো বিষয়গুলো ছিল অনেকটা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। এ ধরনের অনিয়মের জেরেই বৃদ্ধি পেত শিক্ষা খাতের মোট ব্যয়। শিক্ষাসংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা ছিল, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে শিক্ষা খাতে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হবে। কিন্তু অভ্যুত্থানের প্রায় নয় মাস পেরিয়ে গেলেও স্থিতিশীলতাই ফেরেনি। শিক্ষা খাতের সংস্কারে নেয়া হয়নি কোনও উল্লেখযোগ্য উদ্যোগও। অথচ এ খাতের ব্যয় প্রায় অপরিবর্তিতই আছে। অর্থ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ১০ মাসে শিক্ষা খাতে মোট ব্যয় ছিল ৩৮ হাজার ৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে পরিচালন ব্যয় ৩১ হাজার ৪৩ কোটি এবং ৬ হাজার ৯৪৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা উন্নয়ন ব্যয়। অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের একই সময়ে মোট ব্যয় হয়েছে ৩৬ হাজার ৯৫০ কোটি ২৫ লাখ টাকা, যেখানে পরিচালন ব্যয় ছিল ৩০ হাজার ৬৭৬ কোটি এবং উন্নয়ন ব্যয় ৬ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা। তদন্ত চলছে সাত দেশে— যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে বহুমুখী তদন্ত শুরু হয়েছে। বিএফআইইউ, দ্য স্টোলেন অ্যাসেট রিকভারি (এসটিএআর), ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (আইএসিসিসি), যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর অ্যাসেট রিকভারি (আইসিএআর) তদন্ত করছে। তাদের তদন্তে বাংলাদেশ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং এবং কেইম্যান দ্বীপপুঞ্জে সম্পদের সন্ধান পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত প্রাথমিক তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এক লাখ ২১ হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনা পরিবারের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে দেশে প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার সম্পদ আটক করা হয়েছে। কর্মীদের রোষে ১০০ নেতা— দেশ রূপান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম। এতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগের ১০০ নেতাকে খুঁজছেন আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকরাই। তারা বলছেন, দলকে স্বৈরাচার-ফ্যাসিবাদী তকমা নিতে হয়েছে ওই ১০০ নেতার কারণে। কর্মী-সমর্থকরা মনে করেন, দলকে ডোবানোর কারিগর মূলত ১০০ নেতা। এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্যদের একচ্ছত্র রাজনীতিও দলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে দাঁড় করিয়েছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অন্তত ৩৫০ যোগাযোগমাধ্যম খুলেছেন। এর মধ্যে হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার, ইমো, টেলিগ্রাম, সিগন্যালও রয়েছে। এসব যোগাযোগমাধ্যমে চিহ্নিত ওই ১০০ নেতার নামের তালিকা ভেসে বেড়াচ্ছে। এসব গ্রুপে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও যুক্ত রয়েছেন। ১০০ নেতার বিরুদ্ধে থাকার পেছনে মূলত যেসব কারণ উল্লেখ করেছেন কর্মী-সমর্থকরা। তার মধ্যে রয়েছে আর্থিক লেনদেনে দলীয় পদ বিক্রি করা, কর্মী-সমর্থকদের মূল্যায়ন না করা, টাকার বিনিময়ে বিএনপি-জামায়াতের অনুসারীদের দলে ভেড়ানো এবং ব্যবসা-বাণিজ্য-চাকরিতে সুযোগ করে দেওয়া। সম্মেলন বাদ দিয়ে প্রেস রিলিজনির্ভর কমিটি দেওয়া। বেফাঁস কথা বলা।