সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭


ছেলে ছাত্রদল, সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা জামায়াত প্রার্থীর

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ছেলে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় এবং জামায়াতের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ায় সর্ম্পক ছিন্ন করার ঘোষণা দিয়েছেন বরিশাল-১ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম খান। নিজের ফেসবুক পোস্টে এমন ঘোষণা দেওয়ার পর ব্যাপক আলোচনার তৈরি হয়েছে।

জানা গেছে, ৭ নভেম্বর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বিপ্লব ও সংহতি দিবসে গৌরনদীর পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব হুমায়ুন কবির। সমাবেশে বরিশাল-১ আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী জহির উদ্দিন স্বপনের উপস্থিতিতে জামায়াত মনোনীত প্রার্থীর ছেলে আরাফাত বিল্লাহ খান বক্তব্য দেন।

বক্তব্যে আরাফাত বিল্লাহ বলেন, আমার বাবা জামায়াত থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। আপনাদের কেউ যদি বলে, আপনি যে বিমানে উঠেছেন সেই বিমানের পাইলট ইউটিউব দেখে বিমান চালানো শিখেছেন, তাহলে আপনারা কি সেই বিমানে ভ্রমণ করবেন? জনসভা থেকে এসময় সমস্বরে ‘না’ বলতে শোনা যায়। সঙ্গে সঙ্গে আরাফাত বিল্লাহ খান আবার বলেন, ‘কেন করবেন না? কারণ তার কোনো প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নেই, কোনো এক্সপেরিয়েন্স নেই।’

এই বক্তব্যের পর আরাফাত বিল্লাহের বাবা কামরুল ইসলাম খান ফেসবুকে দুটি স্ট্যাটাস দেন। প্রথমটিতে লেখেন, ‘আমাকে পিতা পরিচয় দিয়ে গতকাল ৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখ গৌরনদী পাইলট স্কুল মাঠে বিএনপির পক্ষ নিয়ে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে তাতে কেউ হতাশ হবেন না। আমি আজ চিকিৎসা শেষে ঢাকা থেকে বাসায় ফিরে দুই উপজেলার আমির, আসন পরিচালক ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দদেরকে নিয়ে জরুরি বৈঠক করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব ইনশাআল্লাহ।’

দ্বিতীয় স্ট্যাটাসে লেখেন, ‘আমার বড় ছেলে আরাফাতকে শিবির করার জন্য অনেক বুঝিয়েছি, অনেক চাপ সৃষ্টি করেছি। আমি ব্যর্থ হয়েছি। তাকে দিয়ে শিবির করাতে পারিনি। আমি একজন ব্যর্থ পিতা। আমার বড় ছেলের সঙ্গে আমি সম্পর্ক ছিন্ন করলাম জামায়াতে ইসলামীর নমিনির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার জন্য।’

কামরুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলের দেওয়া বক্তব্যে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শেষের পথে। ছেলেটার বক্তৃতায় সব এলোমেলো হয়ে গেছে। বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। আমার পরিচয় দেওয়ার পরেই সে কথাটা বলেছে। এই কথাটা সে না বললেও পারতো।

কামরুল ইসলাম স্বীকার করেন, আমার ছেলে ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। সে কেন্দ্রীয় কমিটির পদেও ছিল। আমি জামায়াতের রাজনীতি করি। এজন্য আমার ছেলেও চাপে রয়েছে। কারণ এই খবর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানও জানেন। আমার ইচ্ছা ছিল ছেলে শিবির করবে। আমার মতো জামায়াতের নেতা হবেন। কিন্দু তা না করে বিরোধী পক্ষের রাজনীতি করে আমাকে রাজনৈতিক ও মানসিক চাপে ফেলেছে।

বাবা ও ছেলের দুই দলের রাজনীতির বিষয়ে পারিবারিকভাবেও বিপাকে আছেন বলে জানান আরাফাত বিল্লাহ খান। তিনি বলেন, আমি আমার পার্টির প্রতি দায়িত্ববান। বাবা জামায়াত করেন এটা তার পছন্দের বিষয়, আমি বিএনপি করি এটা আমার পছন্দের বিষয়। বাংলাদেশ একটা গণতান্ত্রিক দেশ, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করলে আমাদের এই সুযোগটুকু দেওয়া উচিত।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ