পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবীতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের ৫ম ধাপের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ ৩০ অক্টোবর, বৃহস্পতিবার আগারগাঁও এ নির্বাচন কমিশন অফিসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করেছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
স্বারকলিপিতে একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদকে অধিকতর কার্যকর করার লক্ষ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন বিরামহীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে প্রশংসা করা হয়।
নভেম্বরে গণভোট আয়োজনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বলা হয়, দেশবাসী মনে করে- গণভোট ব্যতীত জুলাই জাতীয় সনদ আইনগত টেকসই ভিত্তি পাবে না। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে।
পিআরের পক্ষে অবস্থান তুলে ধরে বলা হয়, আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা অনুযায়ী কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল রোধ, পেশিশক্তি প্রদর্শন ও ভোটের বিভিন্ন অনিয়ম ও অপতৎপরতা বন্ধ, কোয়ালিটি-সম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরিসহ প্রতিটি ভোট মূল্যায়নের লক্ষ্যে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের জন্য জোর দাবি জানিয়ে আসছি।
সংশোধিত আরপিও-র পক্ষে অবস্থান জানিয়ে বলা হয়, উপদেষ্টা পরিষদ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনী অনুমোদন করেছে। আমরা লক্ষ্য করছি সরকার কর্তৃক সংশোধিত গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের কিছু বিষয় পরিবর্তনের জন্য একটি রাজনৈতিক দল দাবি জানিয়েছে। আমরা মনে করি এ দাবি কোনো অবস্থাতেই গ্রহণ করার সুযোগ নেই।
দলের রাজনৈতিক অবস্থান উল্লেখ করে বলা হয়, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অনেক রাজনৈতিক দল জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন, আগামী নভেম্বরে গণভোট অনুষ্ঠান ও ফেব্রুয়ারি ২০২৬ এ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৫ দফা দাবীতে আন্দোলন করে আসছে। আমাদের উত্থাপিত দাবিগুলোর প্রতি দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, গবেষক ও শিক্ষাবিদসহ সচেতন নাগরিকসমাজ আন্তরিক সমর্থন জানিয়েছে। দেশের সাধরণ জনগণও এসব দাবির প্রতি ব্যাপক সমর্থন দিয়ে রাজপথে আন্দোলনে শামিল হয়েছে ।
এমতাবস্থায় দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ -এর এসব যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত গণদাবি নির্বাচন কমিশন মেনে নিবেন এবং গণ-মানুষের অধিকার পুনরুদ্ধারের অভিযাত্রায় গতিপথ নির্বারণ করবেন।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আয়োজিত স্বারকলিপিপূর্ব জমায়েতে সভাপতিত্ব করেন, যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা দক্ষিণের সভাপতি মাওলানা ইমতেয়াজ আলম, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরেক যুগ্মমহাসচিব ও ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দলের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন প্রমূখ।
এলএইস/