বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট এম রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেছেন, ‘আমি এমপি হয়েছি, মন্ত্রী হয়েছি কিন্তু সবসময় নিজেকে ইসলামের খাদেম মনে করি। ইসলামের পক্ষে কথা বলেছিলাম বলেই আমাকে ‘জঙ্গি বাংলা ভাইয়ের দোসর’ বলে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। আমার বিরুদ্ধে জঙ্গি মামলাও দেওয়া হয়েছিল।’
রোববার (২৬ অক্টোবর) নাটোর উপশহর মাঠে নাটোর সদর ও নলডাঙ্গা উপজেলার ইমাম, মুয়াজ্জিন ও ওলামা মাশায়েখ সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু বলেন, ‘শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম’ সংযোজন করেছিলেন। সেই ‘বিসমিল্লাহ’ মুছে ফেলার জন্য স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা অনেক চেষ্টা করেছেন। আর আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব যে ৩১ দফা দিয়েছেন তারমধ্যে ইমাম, আলেম-ওলামা ও ইসলামী সমাজের সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয়েছে।’
দুলু বলেন, ‘ইতিহাস সাক্ষী—ইসলামকে ধ্বংস করার চেষ্টা যারা করেছে তারাই ধ্বংস হয়েছে। শেখ হাসিনার পরিণতিও তাই হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আলেম-ওলামাদের টুপি পরে রাস্তায় বের হতে দেয়া হয়নি। ইসলামী মাহফিল করতে দেয়া হয়নি। গত ১৭ বছর আলেম-ওলামারা নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। অনেককে জঙ্গি বলে জেলে পাঠানো হয়েছে। আওয়ামী লীগ ইসলামবিরোধী শক্তির দোসর হিসেবে কাজ করছে। তারা যে দেশে আশ্রয় নিয়েছে সেখানেই ইসলামের শত্রুরা বাবরি মসজিদ ভেঙে দিয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি আলেম–ওলামারা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতিনিধি। তারা নৈতিকতার বাতিঘর। কওমি মাদরাসার ছাত্ররা কখনো বিভ্রান্তিতে পড়ে না। তারা প্রকৃত ইসলাম চেনে।’
অধ্যক্ষ কাজী রিয়াজুল হক মমিন সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক হাফেজ শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাওলানা আবুল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন ওলামা দলের রাজশাহী বিভাগীয় টিম প্রধান ইমামুল হক মাজেদী, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক রহিম নেওয়াজ, সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আসাদ, নাটোর ঈমান আকিদা সংরক্ষণ পরিষদের সভাপতি ও জেলা ইমাম কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আবুল হোসেন। এ সময় ইমাম, মুয়াজ্জিন, ওলামা–মাশায়েখ ও জেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এলএইস/