বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসায় গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন আহমদ এই কথা জানান।
২০০৭ সালে এক-এগারোর সেনা সমর্থিত সরকার ক্ষমতায় আসার পর গ্রেফতার হন তারেক রহমান। ২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার সময় কারামুক্ত হয়ে সপরিবারে লন্ডনে চলে যান। এরপর আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার অনুপস্থিতিতে পাঁচ মামলায় সাজা দেওয়া হয়। এছাড়াও দায়ের করা হয় শতাধিক মামলা। তার বক্তব্য-বিবৃতি প্রচারেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় দৃশ্যপট। তারেক রহমান চলে আসেন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে। সব মামলা থেকে ইতোমধ্যে খালাস পেয়েছেন। তবে এক বছরের বেশি সময় পরও তিনি দেশে ফিরেননি।
সম্প্রতি বিবিসি বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান জানান তিনি শিগগির দেশে ফিরবেন। এরপর থেকেই তারেক রহমান কবে নাগাদ দেশে ফিরতে পারেন সেটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন জানান, বিএনপি চলতি মাসের মধ্যে ২০০ আসনে একক প্রার্থীকে ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দেবে।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘আরপিও সংশোধনের বেশ কিছু ধারায় আমরা সম্মত ছিলাম। তবে ২০(১) উপধারা অনুযায়ী, জোটভুক্ত হলে রাজনৈতিক দলগুলো অন্য দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারত–এই ধারার পরিবর্তনে অধিকাংশ দলই সম্মত ছিল। আমরা আশ্বস্ত ছিলাম, কিন্তু যেভাবে আরপিও পাস হলো, তাতে ছোট দলগুলো জোটবদ্ধ হতে উৎসাহিত হবে না। এতে ছোট দলের বড় নেতারা সুযোগ হারাবেন।’
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘এটি একতরফাভাবে কেন পাস করা হলো? বিএনপি বহুদলীয় সমৃদ্ধ সংসদ দেখতে চায়। সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করার আহ্বান জানাই।’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও জানান, প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া যাতে কেউ জিততে না পারে তা নিশ্চিতে একক প্রার্থী থাকা আসনে ‘না’ ভোটে সম্মতি জানিয়েছে বিএনপি।
তিনি আরও জানান, আরপিও সংশোধনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক চিঠি দেবে বিএনপি।
আরএইচ/