সোমবার, ২০ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
নির্বাচন কালে মাঠে ১ লাখ সেনা ও দেড় লাখ পুলিশ থাকবে : ইসি সচিব জুলাই ২৪ আন্দোলনে শহীদরাও মুক্তিযোদ্ধা : দাবি রিজভীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আমরণ অনশনে শিক্ষকরা শিক্ষক মানবতার নির্মাতা ও সমাজগঠনের দিশারী যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি, ইরানে একজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ভারতে ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ বলায় মুসলিমদের ওপর বুলডোজার অভিযান জামায়াতের কথার সঙ্গে কাজের মিল নেই : রুমিন ফারহানা লাগাতার অগ্নিকাণ্ড রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে স্পষ্ট  ষড়যন্ত্র: মাওলানা ইমতিয়াজ আলম ভারতীয় সংস্থাগুলোর যেভাবে কাশ্মীরীদের সম্পত্তি দখল করছে

গণভোট আয়োজনে সরকারের গড়িমসি উদ্বেগজনক: জামায়াত

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের বৈঠক রোববার (১৯ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে সভাপতিত্ব করেন দলের নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। বৈঠকে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। জামায়াতের ইসলামীর পক্ষ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, বৈঠকে গত ১৭ অক্টোবর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলায় জুলাই যোদ্ধারা আহত হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা এবং এ ঘটনার নিন্দা জানানো হয়। পাশাপাশি আহতদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সব মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়।

কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের এ বৈঠকে বলা হয়, জুলাই জাতীয় সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার লক্ষ্যে গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সরকার গড়িমসি করছে, যা জাতির জন্য উদ্বেগজনক। কেউ কেউ গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন একই দিনে অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিচ্ছেন, যা কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের মতে একটি অবাস্তব ও অপরিপক্ক ধারণা। একসাথে গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে গণভোটের গুরুত্ব মারাত্মকভাবে হ্রাস পাবে। এটি জাতির সঙ্গে প্রতারণার শামিল এবং গণভোট প্রক্রিয়াকে অনিশ্চয়তায় ফেলবে। কারণ জাতীয় নির্বাচনে কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হলে গণভোটও স্থগিত হয়ে যাবে যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

এমন প্রেক্ষাপটে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জোর দাবি জানান যে, সরকার যেন অবিলম্বে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করে এবং আগামী নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোটের আয়োজন করে। পাশাপাশি, ওই গণভোটের ফলাফলের আলোকে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

নির্বাচন কমিশন ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন থেকে সরে আসায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে নির্বাচন কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন অত্যন্ত জরুরি।

এর মাধ্যমে জাতি সরাসরি ভোট প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে পারবে, জাল ভোট ও কারচুপি প্রতিরোধ হবে এবং ভোটারদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য করতে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নিকট জোর দাবি জানায়।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ