বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশে প্রচলিত নেতিবাচক রাজনীতির পরিবর্তে নতুন ধারার ইতিবাচক রাজনীতি প্রবর্তনই দলটির লক্ষ্য। শনিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাজধানীর তালতলার হালিম ফাউন্ডেশন স্কুল প্রাঙ্গণে কাফরুল দক্ষিণ থানা আয়োজিত ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনের সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
থানা আমীর উপাধ্যক্ষ আনোয়ারুল করিমের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি আবু নাহিদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন এবং কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের নায়েবে আমীর আব্দুর রহমান মূসা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের কর্মপরিষদ সদস্য শাহ আলম তুহিন, জামায়াত নেতারা সালাউদ্দিন শাহীন, জাকির হোসেন, রুহুল আমীন, আবু সাঈদ খুদরি এবং ছাত্রশিবিরের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় পশ্চিম শাখার সভাপতি রেজাউল করিম প্রমুখ।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, “দেশকে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত করে ন্যায়-ইনসাফভিত্তিক সমাজ স্থাপনের জন্য রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন অপরিহার্য। সেই লক্ষ্যে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা ব্যক্তিগত বা দলগত বিরোধ উত্তেজিত করে কথাবার্তা চালাই না—আমরা আমাদের লক্ষ্য ও আদর্শ নিয়ে কথা বলি।” তিনি আরও বলেন, জীবনের সব ক্ষেত্রেই আল্লাহর হুকুম মেনে চলাই মুসলিম হিসেবে আমাদের দায়িত্ব; আল্লাহর নির্দেশনার বাইরে গিয়ে কাজ করলে তা প্রকৃত ইবাদত হিসেবে গণ্য হবে না।
মুসলিম হিসেবে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রীয় জীবনকে আল্লাহর বিধান ও হাদিসের আদর্শে পরিচালনা করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, “আল্লাহ আমাদেরকে দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন যেন আমরা তাঁরই ইবাদত করি; তাই কোনো ক্ষেত্রেই আল্লাহর বিধান অমান্য করা যাবে না।”
বিশেষ অতিথি মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, “জুলাই বিপ্লব আমাদের শেখ হাসিনার স্বৈরাচারি, ফ্যাসিবাদী ও মাফিয়া শাসন থেকে মুক্তির সূচনা করেছে। তাই বিপ্লবের চেতনাকে ধারণ করে আগামী দিনের কর্মপন্থা গ্রহণ করতে হবে। রাষ্ট্রীয় কাঠামোর কার্যকর সংস্কার ও গণহত্যাকারীদের বিচারের পর জনগনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর নিশ্চিত করা প্রয়োজন।” তিনি যোগ করেন, “বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথাও বলেছিল; কিন্তু অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর করলে জনগণ তা মেনে নেবে না এবং গণদাবির মাধ্যমেই সরকারকে নির্বাচনের পথে বাধ্য করতে হবে।”
এনএইচ/