ধর্মের ইতিবাচক শিক্ষা ও ভালো দিকগুলো অনুসরণ করলে সমাজে কোনো হানাহানি বা দ্বন্দ্ব থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকার ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট প্যারোড গ্রাউন্ডে (সিমেন্স হোস্টেল) আয়োজিত কঠিন চীবর দান উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে হিল চাদিগাং বৌদ্ধ ওয়েলফেয়ার সোসাইটি।
আমীর খসরু বলেন, “কঠিন চীবর এক ধরনের ত্যাগের প্রতীক। এটি ধৈর্য ও আত্মনিয়ন্ত্রণের পরীক্ষা। প্রতিটি ধর্মেই ত্যাগের এই চর্চা রয়েছে। যদি আমরা ধর্মের ভালো দিকগুলো—ভালো কাজ ও কথাগুলো বাস্তবে অনুসরণ করি, তাহলে সমাজে মারামারি, হানাহানি বা বিভাজন কিছুই থাকবে না।”
তিনি আরও বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সবসময় বলেন—‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার; ধর্ম যার যার, নিরাপত্তা সবার; ধর্ম যার যার, উৎসব সবার।’ বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের শুধু ধর্মই নয়, তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও কৃষ্টি রয়েছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল এই বৈচিত্র্যকে টিকিয়ে রাখতে চায়। কারণ অনেক রঙ মিলে যেমন রংধনু তৈরি হয়, তেমনি সবার মিলেই গড়ে উঠবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।”
বিএনপির এই নেতা বলেন, “আপনাদের (বৌদ্ধ সম্প্রদায়) উৎসবমুখর অনুষ্ঠান দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছি। বিশেষ করে আপনাদের শৃঙ্খলা ও সংহতি আমাদের জন্য দৃষ্টান্ত। যদি এই শৃঙ্খলা সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে ধরে রাখা যায়, তাহলে আগামীর বাংলাদেশ হবে আমাদের প্রত্যাশার বাংলাদেশ।”
বৌদ্ধবিহার স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, “এই এলাকায় অনেক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী বসবাস করলেও এখনো একটি বৌদ্ধবিহার নেই। ভবিষ্যতে সুযোগ পেলে এই অঞ্চলে একটি বৌদ্ধবিহার স্থাপন করা হবে।”
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন হিল চাদিগাং বৌদ্ধবিহারের প্রতিষ্ঠাতা সাধনাজ্যোতি মহাস্থবির। ত্রিপিটক পাঠ করেন ভদন্ত কুমার কাশ্যপ, ভিক্ষু পঞ্চশীল পাঠ করেন করুনাময় চাকমা।
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য ইসরাফিল খসরু ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ।
আলোচক হিসেবে অংশ নেন ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা, বিএনপি নেতা সরফরাজ কাদের রাসেল, বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি রুবেল বড়ুয়া এবং বিএনপি নেতা রোকন মাহমুদ।
এনএইচ/