বিএনপি ক্ষমতায় এলে নোয়াখালীকে বিভাগ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু। সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবের অডিটোরিয়ামে ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুলু বলেন, “নোয়াখালী জেলার আয়তন এখন প্রায় ২ হাজার বর্গকিলোমিটার বেড়েছে, এখানে সমুদ্রবন্দর স্থাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে নোয়াখালীর নেতারা ছিলেন অগ্রভাগে। সিরাজুল আলম খান না থাকলে হয়তো বাংলাদেশই জন্ম নিত না। আ স ম আবদুর রব বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেছেন। দেশের প্রথিতযশা সাংবাদিকদেরও অনেকের বাড়ি নোয়াখালীতে। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম জেলা কমিটি গঠিত হয় নোয়াখালী জেলা সমিতির মাধ্যমে। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নোয়াখালীকে বিভাগ করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানো হবে। বর্তমান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বাড়িও বৃহত্তর নোয়াখালীতে।”
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালে সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগ গঠন ছিল অগ্রাধিকারের বিষয়। এখন সময়ের দাবি হলো নোয়াখালীকে বিভাগ করা। বিএনপি ক্ষমতায় এলে এটিই হবে প্রথম অগ্রাধিকার।”
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সাবেক সচিব ও ঢাকাস্থ নোয়াখালী জেলা সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি কেএম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, “নোয়াখালীর রয়েছে তিন হাজার বছরের ঐতিহ্য। কুমিল্লার চেয়ে আয়তনে প্রায় ১২০০ বর্গকিলোমিটার বড় এই জেলা, জনসংখ্যা প্রায় ৪০ লাখ। সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর নোয়াখালীতে অবস্থিত। দেশের বহু বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্মও এই জেলায়। নদীবন্দর, সমুদ্র অর্থনীতি এবং শিল্প-বাণিজ্যে নোয়াখালীর অবদান দেশের জিডিপির প্রায় ৩০ শতাংশ। এসব কারণেই প্রশাসনিক বিকেন্দ্রীকরণ ও জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে নোয়াখালীকে বিভাগ ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।”
নোয়াখালী জেলা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মাবুদ দুলালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিএনপি, জামায়াত, গণ অধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।
এনএইচ/