দেশ আজ ভয়াবহ রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকটে নিমজ্জিত। জনগণের ন্যায্য দাবিকে উপেক্ষা করে জাতিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঘোষিত ৫ দফা গণদাবি, বিশেষত জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন ছাড়া জাতির সংকট নিরসনের কোনো পথ খোলা নেই।
এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ। তিনি আজ বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস নরসিংদী জেলা শাখা আয়োজিত নবাগত সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখছিলেন।
সভায় জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুন নূর সভাপতিত্ব করেন এবং জেলা সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ওলিউল্লাহ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাবেক আমীর ও অভিভাবক পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান আল্লামা ইসমাইল নুরপুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুর রহমান হেলাল। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন জেলা সহ-সভাপতি মুফতি আতহার আলী, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ইলিয়াস, সহ-সাধারণ সম্পাদক মাওলানা আব্দুর রাজ্জাক এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আনোয়ার মাহমুদ প্রমুখ।
মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, জুলাই সনদ পূর্ণ বাস্তবায়ন, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, নির্বাচনকে প্রকৃত লেভেল–প্লেইং ফিল্ডে আনা, জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা এবং সংসদের উচ্চকক্ষে PR পদ্ধতি চালু করা—এই ৫ দফাই জনগণের প্রাণের দাবি।
তিনি নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে দাবী আদায়ে সংগঠন ঘোষিত আগামী দিনের সকল কর্মসূচি সফল করার আহ্বান জানান।
অন্তর্জাতিক ইস্যুতে তিনি বলেন, ইসরায়েল গাজাগামী ত্রাণবাহী নৌযান আটক করে মানবতার বিরুদ্ধে ভয়াবহ অপরাধ করেছে। এই বর্বরতার রক্ষা-কবচ হলো আমেরিকা। যুক্তরাষ্ট্রের অন্ধ সমর্থন ছাড়া ইসরায়েল এতদিন ধরে গণহত্যা চালাতে পারত না। মুসলিম উম্মাহসহ বিশ্ববাসীকে এ বর্বরতা বন্ধে সোচ্চার হতে হবে।
প্রধান অতিথি আল্লামা ইসমাইল নুরপুরী বলেন, “জনগণের ন্যায্য দাবি পূরণে এগিয়ে আসা অপরিহার্য। দলীয় কর্মসূচি ও ৫ দফা দাবির পক্ষে নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন থাকা আবশ্যক। দেশের শান্তি, নিরাপত্তা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা নবাগতদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, ঘোষিত কর্মসূচি সফল করতে সর্বশক্তি দিয়ে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
সম্প্রতি খাগড়াছড়ির ঘটনা প্রসঙ্গে তারা বলেন, “ধর্ষণের মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগকে ঢাল বানিয়ে ভারতীয় মদদপুষ্ট ইউপিডিএফ নাশকতা, অগ্নিসংযোগ ও সশস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। সরকারকে এই কার্যক্রম কঠোরভাবে দমন করতে হবে। সেনা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। তারা দেশের নিরাপত্তা, জনগণের জীবন ও মর্যাদা রক্ষায় নেতাকর্মীদের একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান।
আরএইচ/