‘জুলাই সনদ’-এর ভিত্তিতে এবং পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ কয়েকটি দাবিতে চলমান যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ লক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলটি।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী ১ থেকে ৯ অক্টোবর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ কর্মসূচি পালিত হবে। এরপর ১০ অক্টোবর ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে গণমিছিল অনুষ্ঠিত হবে। আর ১২ অক্টোবর জেলা প্রশাসকদের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করা হবে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, দেশের জনগণ এক কঠিন সময় পার করছে। আমরা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা চাই, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এ জন্যই জনগণের দাবি ও অভিপ্রায় অনুযায়ী আগামী জাতীয় নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন করতে হবে। নইলে জনগণ রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে যেতে বাধ্য হবে।
তার ভাষ্য অনুযায়ী, দেশের বর্তমান সংকট নিরসনের একমাত্র পথ হলো একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। আর তা নিশ্চিত করতে হলে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে’ গঠিত ঐকমত্যকে ভিত্তি করেই নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
দলটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মাধ্যমেই তারা দাবিগুলো তুলে ধরতে চায়। এ কারণে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে কর্মসূচিগুলোতে রাজপথে কঠোর কোনো অবস্থান নেওয়া হয়নি।
জামায়াত মনে করে, সংলাপ ও শান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে রাজনৈতিক সমাধানের পথ এখনো উন্মুক্ত আছে। তবে জনগণের দাবি উপেক্ষা করা হলে, তা কঠোর আন্দোলনের দিকে যেতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল।
আরএইচ/