রবিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ১৩ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ৬ রবিউস সানি ১৪৪৭


পূজায় শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে মুখ খুললেন ইসলামী আন্দোলনের দুই তরুণ নেতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

দুর্গাপূজায় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে বিতর্ক চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কোনো কোনো নেতা শুভেচ্ছা জানানোর পক্ষে মত দেওয়ার পর এ ব্যাপারে মুখ খুলেছেন দলটির তরুণ নেতা, যাদের ইলমি অবস্থান সব মহলে স্বীকৃত। জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদের এই দুই নেতা পদাধিকার বলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশেরও কেন্দ্রীয় নেতা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হাতপাখা প্রতীকে তাদের নির্বাচন করার কথা রয়েছে। এই দুই নেতা হলেন মুফতি রেজাউল কারীম আবরার এবং মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী।  

রেজাউল কারীম আবরার ফেসবুক পোস্টে লেখেন-

কোনো ধরনের ‘যদি’ ‘তবে’ ‘কিন্তু’ ছাড়া পূঁজায় শুভেচ্ছা  জানানো হারাম। 

শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া থেকে শুরু করে ইবনুল কায়্যিম, ইবনে হাজার হাইতামিসহ কালের তাকি উসমানি, উসাইমিন রাহি.সহ সকলের মতে  হারাম। 

এ মতের ভিন্ন আলেমের বক্তব্য থাকলে সেটাকে বলা হয় ‘যাল্লাত’ তথা বিচ্যুতি। আর সেটার অনুসরণ করা জায়েজ নেই। 

আমাদের উদারতা এবং একমুখী অধ্যয়ন যেন আদর্শ বিচ্যুতির কারণ না হয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে সঠিক পথে পরিচালিত করুন।

আর মুফতি শামসুদ্দোহা আশরাফী ফেসবুকে লিখেন-

কুরআন, হাদিস ও ফিকহের দলিলসমূহ থেকে স্পষ্ট প্রমাণিত যে, মুসলিম রাষ্ট্রে বসবাসরত অমুসলিম নাগরিকদের নিরাপত্তা, জান-মাল সংরক্ষণ ও ধর্ম পালনের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা সরকারের দায়িত্ব। তবে কোনো মুসলিম ব্যক্তি বা দলের দায়িত্ব নয় যে তারা বিশেষভাবে তাদের শুভেচ্ছা জানাবে, ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেবে কিংবা আলাদা নিরাপত্তা বাহিনী গঠন করবে।

এক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনীতে কর্মরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদেরকে কাজে লাগালে অধিক কল্যাণকর হবে। 

৫ই আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতি আর এখনকার পরিস্থিতি এক নয়। কারণ তখন কোন সরকার ছিল না এখন সরকার আছে। 

সম্প্রতি বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানানো হচ্ছে! তা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। 

আবার দেখলাম ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের এক দায়িত্বশীল সেটাকে জায়েজ বলার চেষ্টা করছেন! ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের একজন দায়িত্বশীল হিসেবে শেখ ফজলুল করিম মারুফ ভাইয়ের বক্তব্যকে স্পষ্টভাবে প্রত্যাখ্যান করছি৷ 

ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের ব্যাপারে আমাদের আচার-আচরণ কেমন হবে এ ব্যাপারে সুরায়ে কাফিরুন থেকে শিক্ষা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ