সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের জেএফকে বিমানবন্দরে প্রধান উপদেষ্টার সাথে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়া কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার উপর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী-যুবলীগের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে খেলাফত মজলিস। এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ দূতাবাস কর্মকর্তাদের যোগসাজশ ছিল কি না তা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭ টায় খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নায়েবে আমীর মাওলানা আহমদ আলী কাসেমীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাপ্তাহিক নির্বাহী বৈঠকে নেতৃবৃন্দ এই নিন্দা জানান।
বৈঠকে নেতৃৃবৃন্দ বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে জুলাই গণঅভ্যুত্থান বিরোধী অপশক্তির ষড়যন্ত্র তত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ফ্যাসিবাদী আওয়ামীলীগ কর্মীদের ঝটিকা মিছিল ও নাশকতার পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে প্রশাসন বারবার ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান বিরোধী এই অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আরো কঠোর হতে হবে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে শতাধিক লোকের বিশাল বহর নিয়ে গেলেও বাংলাদেশের পক্ষে শক্তিশালী প্রতিনিধিত্ব করতে পারেননি প্রধান উপদেষ্টা। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়নে বন্ধুপ্রতিম দেশগুলোর রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে বৈঠক কিংবা সমঝোতার উদ্যোগ লক্ষণীয় ছিল না।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সভায় নেতৃবৃন্দ গাজায় অব্যাহত ইসরাইলী গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, দখলদার ইসরাইলী আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্লজ্জ সমর্থন ও সহযোগীতা শান্তিকামী মানুষের হৃদয়ে এই রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে প্রবল ঘৃণা উদ্রেক করছে। জাতিসংঘের ৮০ ভাগ সদস্য রাষ্ট্র ফিলিস্তিনকে স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগকারী নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য যুক্তরাষ্ট্র এখনো স্বীকৃতি আটকে রেখেছে। আমরা গণহত্যাকারী অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইল ও সহযোগী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানবতাবিরোধী এসব অপকর্মের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। আমরা অবিলম্বে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুসারে স্বাধীন-সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি কার্যকরের দাবি জানাই।
দলের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদেরের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নায়েবে আমীর অধ্যাপক আবদুল্লাহ ফরিদ, যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, মুহাম্মদ মুনতাসির আলী, ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক মো: আবদুল জলিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট মিজানুর রহমান, অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, সমাজকল্যাণ ও শিল্প বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান ফিরোজ, প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, প্রচার ও তথ্য সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুল হাফিজ খসরু, যুব বিষয়ক সম্পাদক তাওহীদুল ইসলাম তুহিন, সাহাব উদ্দিন আহমদ খন্দকার, মুফতি আবদুল হক আমিনী, জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হক, মাওলানা সাইফুদ্দিন আহমদ খন্দকার, আলহাজ¦ নুর হোসেন, মো: আবুল হোসেন, এডভোকেট রফিকুল ইসলাম, আমির আলী হাওলাদার প্রমুখ।
এমএইচ/