শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :

ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়াতে থানায় হাজির জামায়াত নেতা!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জুলাই আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে ছাড়াতে থানায় হাজির হন এক আওয়ামী লীগ। পটুয়াখালীর বাউফলের এই ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জামায়াতের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগকে পুনর্বাসনের অভিযোগ তুলছেন কেউ কেউ।  

স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ছাত্রলীগ নেতা মাইনুল ইসলামকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তিনি মমিনপুর গ্রামের আব্দুস সালাম সিকদারের ছেলে এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।

আটকের আগে মাইনুলের কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, তিনি আওয়ামী লীগের কিছু নেতার সঙ্গে উপস্থিত রয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালের কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের সময় মাইনুল ও তার ভাই আমিনুল নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান (আ স ম ফিরোজের শ্যালক ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হক ওরফে অপু) পরিচিতদের পক্ষে ভাঙচুর ও সংঘর্ষে জড়িত ছিলেন। আজ আটকের পর তাকে ছাড়াতে থানায় আসেন কেশবপুর ইউনিয়ন যুব জামায়াতের সভাপতি গোলাম আবু সাঈদ।

গোলাম আবু সাঈদ বলেন, ‌মাইনুল ছাত্রলীগের কোনো পদে ছিল না। বর্তমানে সে আমাদের ইউনিয়ন জামায়াতের যুব কমিটির অর্থ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই আমি থানায় গিয়েছিলাম।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকরুজ্জামান সরকার বলেন, মাইনুলকে ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। তিনি নিষিদ্ধ সংগঠনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এলাকায় অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিলেন।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ