বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ ।। ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৮ জিলহজ ১৪৪৬


‘ইশরাক-ইশরাক’ স্লোগানে উত্তাল নগর ভবন, টানা আন্দোলনে অচল সেবা কার্যক্রম


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়ার দাবিতে টানা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে করপোরেশনের একাংশের কর্মচারী ও তার সমর্থকেরা। এর ফলে আজও (সোমবার, ২ জুন) অচল হয়ে রয়েছে নগর ভবন কেন্দ্রিক সব নাগরিক সেবা কার্যক্রম। সেবা নিতে আসা মানুষজন কার্যত ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।

ইশরাকের সমর্থকেরা ‘ঢাকাবাসীর ব্যানারে’ নগর ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। মূল ফটক আটকে দেওয়ার পাশাপাশি তারা করপোরেশনের বিভিন্ন শাখা অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে। আন্দোলনকারীদের স্লোগানে এখন সরগরম নগর ভবনের চত্বর। তাদের স্লোগান—
‘শপথ শপথ শপথ চাই, ইশরাক ভাইয়ের শপথ চাই’,
‘মেয়র নিয়ে টালবাহানা, সহ্য করা হবে না’,
‘নগরপিতা ইশরাক ভাই, আমরা তোমার ভুলি নাই’।

সকালে নগর ভবনের ভেতরের ফটকের সিঁড়িতে অবস্থান নেন ‘ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়ন’ ও সাধারণ কর্মচারীরা। একপর্যায়ে মিছিল বের করে পুরো নগর ভবন প্রাঙ্গণে স্লোগান দিতে থাকেন তারা।

তাদের দাবি, “জনগণের রায় নিয়ে নির্বাচিত ইশরাক হোসেনকে এখনও মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। আমরা জানতে চাই, কেন শপথ অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়া হচ্ছে? আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে এবং নগর ভবনের সব সেবা কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।”

২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। সে সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ফল বাতিল চেয়ে পরবর্তী ৩ মার্চ নির্বাচন ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন বিএনপির প্রার্থী ইশরাক হোসেন।

২০২৫ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর, গত ২৭ মার্চ ট্রাইব্যুনাল নির্বাচন বাতিল করে ইশরাককে বৈধ মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়। এরপর ২৭ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিকভাবে গেজেট প্রকাশ করে।

তবে ইশরাকের শপথের আয়োজনের আগেই ১৪ মে তার শপথ ঠেকাতে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়। এই আইনি জটিলতার কারণে গত ১৫ মে থেকে আন্দোলনে নামে ইশরাকের সমর্থকরা। আন্দোলনের ফলে করপোরেশনের স্বাভাবিক কার্যক্রম ভেঙে পড়ে।

পরবর্তীতে হাইকোর্ট রিটটি খারিজ করে দেয়। এর প্রেক্ষিতে ইশরাক ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়ে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিলেও নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও শপথ অনুষ্ঠানের উদ্যোগ না নেওয়ায় ফের আন্দোলনে ফেরেন তার সমর্থকেরা। ফলে নগর ভবন কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর