মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম খালাস পাওয়ার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায়ের ভিত্তিতে আজ বুধবার (২৮ মে) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে প্রায় ১৩ বছর পর তিনি মুক্তি পেলেন।
বাংলাদেশ মেডিকেলের প্রিজন সেল থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানসহ শীর্ষ নেতারা এটিএম আজহারকে স্বাগত জানান।
এর আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার এক রায়ে তাকে খালাস দেন। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। আদালত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ২০১৪ সালের মৃত্যুদণ্ডের রায় বাতিল করে বলেন, অন্য কোনো মামলা না থাকলে আজহারুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।
রায়ের অনুলিপি মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) পাঠানো হয়। কারণ, বর্তমানে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ছিলেন তিনি।
ঢাকা বিভাগের কারা উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি প্রিজন্স) মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, খালাসের কাগজপত্র রাতে দেরিতে পৌঁছায়। যাচাই-বাছাই শেষে তা হাসপাতালের প্রিজন সেলে পাঠানো হয়েছে। নিরাপত্তার দিকটি বিবেচনা করে রাতেই তাকে মুক্তি না দিয়ে আজ সকালে মুক্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ২০১২ সালের ২২ আগস্ট মগবাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার হন জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম। এরপর থেকে কারাগারেই ছিলেন তিনি।
এনএইচ/