বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫ ।। ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ ।। ১৩ সফর ১৪৪৭


পাঠ্যপুস্তকে ফ্যাসিবাদের ইতিহাস যুক্ত করা হোক

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মুফতি সাইদ আহমাদ

জার্মানির স্কুল কলেজে হিটলারের আগ্রাসী যুদ্ধ ও নানারূপ বর্বরতার ইতিহাস পাঠ বাধ্যতামূলক। এই ইতিহাস পাঠের ফলে জার্মানিদের মাঝে ফ্যাসিবাদকে ঘৃণা করার সামর্থ্য তৈরি হয়েছে। এর ফলে সে দেশে হিটলারের ন্যায় ফ্যাসিস্টদের পুনরায় নির্বাচিত হওয়া এবং ক্ষমতায় আসাটি অসম্ভব হয়েছে।

রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের রোগীর রিপোর্ট এবং তাদেরকে সশরীরে দেখেই চিকিৎসক তার চিকিৎসা করে থাকেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ইতিহাসের বিভিন্ন জাতি যেমন আদ সামুদ মাদায়েনের অধিবাসী এবং বনি ইসরাঈল এর নানা ধরনের ত্রুটি বিচ্যুতির বর্ণনা বারবার তুলে ধরেছেন। অসংখ্যবার ফেরাউনের গল্প তুলে ধরেছেন। তাদের ইতিহাস পড়ে আমাদেরকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান করেছেন। 

জাতি গঠনে ইতিহাসের পাঠ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের এ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার রাজনীতি তাদের শাসনামল গুরুত্বের সাথে তুলে ধরা উচিত। আমাদের দায়িত্ব এই শাসন থেকে অমূল্য শিক্ষনীয় বিষয়গুলোকে খুঁজে বের করা। 

স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছর এমনকি এখন পর্যন্ত পাকিস্তান শাসনামলের ক্রুটি বিচ্যুতির ইতিহাস আলোচনায় আসলেও শেখ মুজিবের নিষ্ঠুরতা দুর্নীতি লুণ্ঠন ৩০ হাজারের অধিক রাজনৈতিক কর্মি হত্যার আলোচনা নেই। ইতিহাসে তার আলোচনা থাকলে শেখ মুজিবের পর শেখ হাসিনার শাসন এ জাতিকে দেখতে হতো না। 

পরীক্ষা-নিরীক্ষা দ্বারা মূল রোগ না জানলে তা নির্মূল হবে কিভাবে। দেহে রোগ পুষে রাখার ফলাফল মুত্যু। আমাদের এখন সময় এসেছে স্বাধীনতা পরবর্তী ৫৪ বছরের ভুল ত্রুটি আলোচনায় আনা। রোগ নির্ণয় করা। আগামীর বাংলাদেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করা। 

নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে পিলখানার ৫৭ জন আর্মি অফিসার হত্যার ইতিহাস। হত্যার পর তাদের লাশগুলোকে ফেলে দেওয়া হয়েছিল নর্দমার ড্রেনে। ২০১৩ শাপলা চত্বরে মধ্যরাতে মানুষ হত্যা করে লাশগুলোকে ময়লার গাড়িতে গায়েব করা হয়েছিল। শেখ হাসিনার শাসনামলের গুম খুন আয়না ঘরে অত্যাচারের ইতিহাস নতুন প্রজন্মকে পড়াতে হবে। রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে মিথ্যা ইতিহাস সাজিয়ে বিচারিক হত্যার নির্মম ইতিহাস অবশ্যই পাঠ্যপুস্তকে থাকতে হবে। এতে করে আগামীর বাংলাদেশ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। তার আরেকবার ভুল পথে অগ্রসর হবে না। 

লেখক: শিক্ষক, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, সাত মসজিদ, মুহাম্মাদপুর

পরিচালক, মাদরাসাতুল কুরআন লিল বানাত

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ