শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১০ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন মহানবী (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আলোকে দেশ পরিচালনা করবো: তারেক রহমান ১ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে স্বাগত জানিয়ে যা বললেন পীর সাহেব চরমোনাই

গাজা-কাশ্মীরে জাতিসংঘ মানবাধিকার কমিশনের ভূমিকা নেই কেন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

জৈনপুরের পীর ড. মাওলানা এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী প্রশ্ন করেছেন, “গাজায় যখন শিশু ও নিরীহ মুসলমানদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়, কাশ্মীর কিংবা চীনের উইঘুরে যখন মুসলিম নিপীড়ন চলে—তখন জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন কোথায় থাকে? তাদের কোনো কার্যকর ভূমিকা দেখা যায় না কেন?”

শুক্রবার (২৫ জুলাই) জুমার নামাজের পর রাজধানীর মতিঝিল শাপলা চত্বরে ‘ইন্তিফাদা বাংলাদেশ’-এর আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেট থেকে ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে আলেম-ওলামারা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি পল্টন হয়ে শাপলা চত্বরে গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।

এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী বলেন, “বাংলাদেশে যেন কেউ ইসলামের কথা, জিহাদের কথা না বলতে পারে—এই উদ্দেশ্যে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। এটি মানবাধিকারের নামে নতুন ষড়যন্ত্র।” তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “এই ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না।”

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদরিস। এতে আরও বক্তব্য দেন—মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানী, খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি ফখরুল ইসলাম, মাহমুদুল হাসান গুনবী, রফিকুল ইসলাম মাদানী, আসিফ আদনান, আহমাদ রফিক, শফিকুল ইসলাম ও আশিক আল আবিদ প্রমুখ।

এছাড়া, বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেটে জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের উদ্যোগে আরেকটি বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। সেখান থেকে একটি মিছিল বের হয়ে পল্টন মোড়সহ আশপাশের এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

জমিয়তের মহাসচিব মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী সমাবেশে বলেন, “জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের সঙ্গে এই চুক্তি জনগণের মতামত ছাড়াই হয়েছে, যা গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার পরিপন্থী।” তিনি আরও বলেন, “বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমাদের নিজস্ব সংবিধান, বিচারব্যবস্থা ও মানবাধিকার কমিশন রয়েছে। তাই আন্তর্জাতিক কোনো পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠানের স্থায়ী উপস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয়।”

জমিয়তের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আব্দুর রব ইউসুফীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন—সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বাহাউদ্দীন যাকারিয়া, যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মনির হোসাইন কাসেমী, মাওলানা মতিউর রহমান গাজীপুরী, সহকারী মহাসচিব জয়নুল আবেদীন, সহসাংগঠনিক সম্পাদক মুফতি নাছির উদ্দিন খান ও প্রচার সম্পাদক মুফতি ইমরানুল বারী সিরাজী প্রমুখ।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ