||মাওলানা শরীফ মুহাম্মদ||
জুলাই হত্যাকাণ্ডের চলমান বিচার প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে বুধবার বিবিসির রিপোর্ট প্রকাশ এবং বৃহস্পতিবার রাজসাক্ষী হিসেবে নাম তালিকাভুক্ত হওয়ার পর বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মোড় তৈরি হয়েছে। সে হিসেবে সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের প্রতি দুটি অনুরোধ ও দৃষ্টি আকর্ষণ।
১. জুলাই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকারকারী সদ্য ঘোষণা দেওয়া রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট তাজুল ইসলাম, বিচারকবৃন্দ এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাদের নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ সচেতনতা ও আয়োজন বজায় রাখার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নিন। নিশ্ছিদ্র ব্যবস্থা করুন। পলাতক প্রধান অপরাধী-সহ অন্য অপরাধীদের পক্ষ থেকে নানাভাবে এসব ব্যক্তিকে টার্গেট করার চেষ্টা করার আশঙ্কা আছে। আল্লাহ তাআলা সবাইকে হেফাজত করুন।
২. মানবতাবিরোধী অপরাধের চলমান তদন্ত প্রতিবেদন, তথ্য, ডকুমেন্ট ইত্যাদি নির্ধারিত সংরক্ষণাগারের বাইরে আরো এক বা একাধিক গোপন জায়গায় কপি সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা। কারণ নির্ধারিত জায়গা থেকে এগুলো নষ্ট করা, গায়েব করার নানা রকম চেষ্টা চলতে পারে। সংগৃহীত তথ্য ডকুমেন্ট ফাইল সংরক্ষণের পূর্ণ নিরাপদ একাধিক ব্যবস্থা রাখার উদ্যোগ নিন।
সম্ভবত এই দুটি প্রসঙ্গই আইন ও বিচার মন্ত্রণালয় এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট বিষয়। এক্ষেত্রে তাদের দায়িত্বটাই বড়। এছাড়াও বেসরকারি ও প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক উদ্যোগেও সংরক্ষণ ও সুরক্ষার বিকল্প ব্যবস্থা থাকতে পারে।
আল্লাহ তায়ালা মানবতাবিরোধী ভয়ংকর অপরাধের অপরাধীদের বিচারের ব্যবস্থা করুন এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষ ও তথ্য সবকিছু হেফাজত করুন।
লেখক: সিনিয়র আলেম সাংবাদিক ও বিশ্লেষক
এনএইচ/