শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের, ‘উসমান হাদির হত্যা মামলায় সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়’ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন

পরবর্তী সরকার কারা গঠন করবে? 


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী

নির্বাচন ঘোষিত সময়ের কিছু আগে পরে করলে ভালো হবে। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার জন্য ভোটের তারিখের এক দেড় মাস আগে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো ঠিক হবে না। মিটিং মিছিল জনসভা গণসংযোগ করতে গিয়ে অনেকে রোজা ভেঙে ফেলে। রাতে তারাবি ছেড়ে দেয়। ঈদুল ফিতর উপলক্ষেও থাকে দেশবাসীর বিশাল কার্যক্রম। 

এসএসসি পরীক্ষায়ও অনেক ব্যাঘাত ঘটবে। ধান কাটার মওসুম হওয়ায় ভাটি অঞ্চলের ভোটাররা খুব কর্মব্যস্ত থাকবেন। জানুয়ারি ফেব্রুয়ারি হলে ঠিক ছিল। অবশ্য জানুয়ারির শেষ এবং ফেব্রুয়ারি পুরোটা মিলিয়ে কওমি মাদরাসার দুই পর্বের পরীক্ষা। এর জন্য নভেম্বর ডিসেম্বর খারাপ হতো না। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি আবহাওয়া ও জনগণের ব্যস্ততা বিবেচনায় ভালো সময়। এখন সরকার ও রাজনীতিবিদরা যা ভালো মনে করেন।

অনেকে ফেসবুকেই নির্বাচন সেরে ফেলতে চেষ্টা করছেন। ঈদের সালাম ও শুভেচ্ছা জানিয়ে দোয়া চাইছেন। কোন আসন রেখে কোনটায় দাঁড়াবেন ঠিক করতে পারছেন না। প্রায় ৭৭টি দল নির্বাচনে সক্রিয়। ইসলামি ভাবধারার দলও ১৫/২০টির কম না। গত ৯ মাসে নতুন তৈরি হয়েছে কমবেশি ১২টি দল। মাত্র একজন নেতা তার একটি আসন কল্পনা করে দল গঠন করেছেন, এমনও ১২/১৩টি দল রয়েছে। কিছু দল ৩০০ আসনে পরিচিত মাত্র ৩০০ লোক তালাশ করছে নমিনেশন দেওয়ার জন্য। 

বিগত সময়ে সংসদে গেছে এমন কিছু দলে প্রার্থী পাওয়া সহজ তবে বাছাই করে মনোনয়ন দেওয়া কঠিন। কিছু দল জনপ্রিয় ব্যক্তিদের বুকিং দিতে সচেষ্ট। বড় দলে প্রার্থী বেশি, ঝামেলা ও কোন্দলও বেশি। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে ব্যাপক ভোটের অধিকারী দলকেও ক্ষমতায় যেতে হলে বড় বড় দেশের সমন্বিত শক্তিকেন্দ্রের আশীর্বাদ পেতে হবে। 

সারাদেশে জাতীয় নির্বাচনে পাস করতে সক্ষম, এমন ৫/৬ শ প্রার্থী আগামী বাংলাদেশের সরকার ও বিরোধী দলের জন্য সমন্বিত শক্তির ভরকেন্দ্রের ছাড়পত্র পাচ্ছেন। যে দল থেকেই হোক, এসব লোকের ভেতর থেকেই দলগুলো মনোনয়ন দেবে এবং সংসদে যাওয়া ৩০০ জনের মধ্যে এ তালিকা থেকেই অধিকাংশ যাবেন। মনোনীত ৩০০ জনের সমপর্যায়ভুক্ত বিকল্প ৩০০ জন প্রতিদ্বন্দ্বী সমান্তরাল শক্তির হাতে থাকবে। দেখা যাবে নিজ দলের মনোনয়ন পাওয়ার যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও দুর্বোধ্য কারণে পাননি কিন্তু নতুন কোনো মার্কায় এমপি হয়ে গেছেন। আওয়ামী লীগের অনুপস্থিতির বিষয়টি চিন্তায় রেখে যে ডিজাইন করা হবে। ১৫ % হয়তো এ হিসাবের বাইরে থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। এ কল্পতরুর বাইরে থেকে যে যত চেষ্টাই করুক, কাজ হবে না। কারণ গত দশ মাস এবং আগামী এগারো মাস অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে, হবে।

২০১৯ থেকে একটি বাছাই শুরু হয়ে আগামী নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা পর্যন্ত চলমান থাকছে। অতীত হিসাব নিকাশ আগামী দিনের বাংলাদেশে খুব একটা মিলবে বলে মনে হয় না। তাছাড়া, এপ্রিল এখনো অনেক দূর।

লেখক: সিনিয়র সাংবাদিক ও আলেম লেখক, চিন্তক

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ