শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের, ‘উসমান হাদির হত্যা মামলায় সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়’ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন

সরকারী উদ্যোগ চামড়ার সম্পদ ধ্বংস ডেকে আনবে: পীর সাহেব দেওনা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে সরকারের নেওয়া সাম্প্রতিক উদ্যোগকে ‘বৈষম্যমূলক’ ও ‘ক্ষতিকর’ আখ্যায়িত করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির এবং কওমি মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি দেওনার পীর অধ্যক্ষ শাহ মিজানুর রহমান চৌধুরী।

তিনি বলেছেন, “লাভের চেয়ে ক্ষতির ঝুঁকি বেশি। সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে দেশের মফস্বল ও গ্রামীণ মাদরাসাগুলো মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে।”

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) গণমাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এতে আরো যুক্ত ছিলেন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মুস্তাকীম বিল্লাহ হামিদী এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুফতি দ্বীন মোহাম্মদ আশরাফ।

বিবৃতিতে বলা হয়, কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে বিনামূল্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন লবণ বিতরণের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি বাণিজ্য উপদেষ্টা ঈদের পরবর্তী ১০ দিন রাজধানীতে কাঁচা চামড়া ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এই পদক্ষেপগুলো গ্রামাঞ্চলের চেয়ে রাজধানী ও আশপাশের মাদরাসাগুলোকে বেশি সুবিধা দেবে। এতে বৈষম্য তৈরি হবে, আর ক্ষতিগ্রস্ত হবে মফস্বলের মাদরাসা ও দরিদ্র জনগোষ্ঠী।

নেতৃবৃন্দ বলেন, “চামড়াশিল্প সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা না করেই একতরফাভাবে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া অনভিপ্রেত। এতে চামড়ার প্রকৃত হকদার দরিদ্র জনগণ ও গ্রামীণ চামড়া ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হবেন। মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হবে।”

তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, “সরকারি অনুদানের লবণ বণ্টনে স্থানীয় রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের হস্তক্ষেপ ও দুর্নীতির ঝুঁকি রয়েছে। এর ফলে কওমি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের স্বকীয়তা ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই অনুদান গ্রহণের মাধ্যমে কওমি মাদরাসাগুলোতে সরকারি নির্ভরতার সংস্কৃতি গড়ে উঠবে, যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর।”

নেতারা আরও জানান, বর্ষা মৌসুমে অধিকাংশ মফস্বল মাদরাসায় নেই পর্যাপ্ত সংরক্ষণাগার, দক্ষ জনবল কিংবা প্রাক-প্রস্তুতি। ফলে ঈদের ছুটিতে ছাত্র-শিক্ষকদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে। সংরক্ষণের বিড়ম্বনায় কম দামে চামড়া বিক্রি করতে বাধ্য হবে মাদরাসাগুলো, ক্ষতিগ্রস্ত হবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীরও প্রাপ্য।

বিবৃতির শেষে তাঁরা সরকারের ঘোষিত সিদ্ধান্ত, বিশেষ করে রাজধানীতে ১০ দিন কাঁচা চামড়া প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান এবং এ বিষয়ে পুনঃবিবেচনার আহ্বান জানান।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ