|| মুফতী মুঈনুল ইসলাম ||
হিজড়াদের জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হোক। এদের জন্য নিরাপদ পরিবেশে ধর্মীয় ও কারিগরি শিক্ষা এবং কর্মমুখী প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হোক। এতে অনেক কিছুর সমাধান হয়ে যাবে।
নির্যাতিত ও পথহারা এবং বিপথগামী তরুণীদের জন্য রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা, সংসার ও কর্মসংস্থানের নিরাপদ ব্যবস্থা করা হোক। এঁরা অনেক নন। এঁদের সমস্যার সমাধান হলে এঁরা মাঠে নামবেন না। একজন মানব সন্তান চাই তিনি নারী হন কিংবা পুরুষ, সহজে বিপথগামী হতে চান না। এটাই বাস্তবতা। ‘ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময়, পূর্ণিমার চাঁদ যেন ঝলসানো রুটি।’এই প্রসিদ্ধ উক্তিটি সবারই জানা আছে।
এদেশের শক্তিশালী জনশক্তি পরম শ্রদ্ধেয় উলামায়ে কেরামও সাংগঠনিকভাবে এবং শরীআহসম্মত পদ্ধতিতে এই উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারেন, ইনশাআল্লাহ। সীমাহীন শ্রদ্ধা, ইকরাম, বিনয় ও আবেগের সাথে ওয়ারাসাতুল আম্বিয়া এবং প্রকৃত দেশপ্রেমিক উলামা হযরতকে, এই বিনীত অনুরোধ করছি।
আমরা আপনাদের কাছেই শিখেছি যে, অফিসিয়াল ও রাজপথের কর্মকাণ্ডের চাইতে বাস্তবমুখী কর্মকাণ্ডে সময়, মেধা ও শ্রম ব্যয় করলে সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যায়, ইনশাআল্লাহ। তাছাড়া এতে সচেতনতা, মহানুভবতা, উদারতা, প্রকৃত জনদরদ ও মনুষ্যত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে, যা প্রকৃত অর্থে অন্যান্যদের তুলনায় সহীহ ইলমে নববী থাকার দরুণ, আপনাদের কাছে তুলনামূলক বেশি আছে বলে এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ, সচেতন, দীনদার, দেশপ্রেমিক ও শিক্ষিত জনগণ মনে করেন। উপরন্তু এতে বাস্তব রূপ পাবে ইসলামিক সভ্যতা ও তাহযীব-তামাদ্দুন। শুভকামনা অবিরাম হে মাতৃভূমি বাংলাদেশ।
লেখক: প্রিন্সিপাল ও রেক্টর, জামিয়া ইসলামিয়া ঢাকা; বহু গ্রন্থপ্রণেতা
এমএইচ/