শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ।। ৪ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ২৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
শিশু-কিশোর সংগঠন 'অংকুর' এর সীরাতুন্নবী সা. কুইজ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত জুলাই সনদের ভিত্তিতে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চাই - খুলনা ইসলামী আন্দোলন  কাতারের মধ্যস্থতায় আফগানিস্তানে কারাবন্দি ব্রিটিশ দম্পতির মুক্তি মাদকের বিরুদ্ধে মুরাদনগরে ওলামা পরিষদের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ পাকিস্তানে পৃথক বিস্ফোরণে নিহত অন্তত ১১ ইসলামি বইমেলা পরিদর্শনে জাতীয় মসজিদের খতিব প্রাথমিকে গানের নয়, ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে: শায়খে চরমোনাই পীর সাহেব চরমোনাইয়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ‘মিট আপ’ আফগানিস্তানের বাগরাম বিমান ঘাঁটি আবারও নিয়ন্ত্রণে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্যের মায়ের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোক

এরা কোন নারীদের প্রতিনিধিত্ব করে?


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগ্রহিত

মোস্তফা আকিল

নারী মৈত্রীর সমাবেশ দেখলাম। আমাদের বাংলাদেশের কোটি কোটি নারী সমাজের প্রতিনিধিত্ব এই সমাবেশ করে বলে আমার মনে হয় না৷ আমরা গ্রামেগঞ্জে বড় হইছি, শহরে বহু বছর কাটাচ্ছি। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ সব ধর্মের কালচার, পরিবার দেখেছি, জেনেছি, পড়েছি। গ্রামীণ কিংবা শহুরে কোনো সমাজেরই, কোনো ধর্মেরই নারীদের বৃহত্তর অংশকে এই সমাবেশ প্রতিনিধিত্ব করে না।

হ্যাঁ, এই সমাবেশ প্রতিনিধিত্ব করে বামদের, এনজিও কর্মীদের, ট্রান্স জেন্ডারদের, সমকামিতা প্রমোশনের অ্যাকটিভিস্টদের এবং শহুরে কিছু রেডিকাল লিবারেলদের। এরাই কি শুধু নারী এই দেশে? বৃহত্তর নারী জনগোষ্ঠীকে বাইরে রেখে, বৃহত্তর নারী সমাজের বাস্তবিক দাবি, সমস্যা, চাহিদাকে এড্রেস না করে, এনারা কোন নারী মৈত্রী চায় বুঝলাম না।

একটা প্লেকার্ড দেখলাম "Trans women are women, No debate!" মানে কী? ট্রান্স মহিলারা মহিলা নয়, এটা কেউ বলতে চাইলে বলতে দিবেন না? ডিবেট ছাড়াই আপনার এই লজিক মানতে হবে? কোন বেদবাক্য এইটা?

আরেকটা প্লেকার্ড দেখলাম ‘নারীর অধিকার নিয়ে ওয়াজ, নসিহত, ফতুয়া বন্ধ করেন।’ ‘নারীর জায়েজ হিস্যা দেন না, তখন ইসলাম অবমাননা হয় না?’ এর মানে কি ইসলাম অবমাননাকে নরমালাইজ করা? আপনি নারীর জায়েজ হিস্যা দেন না, তাই আমিও নারীর অধিকার নিয়ে ইসলামের ফতোয়াকে অস্বীকার করে অবমাননা করবো। এমন?

নারীর অধিকার নিয়ে ধর্মের নসিহত করা বন্ধ করতে বলা কোন ধরনের নারী মৈত্রী? ধর্ম প্রচারকগণ ধর্মের কথা বলবে৷ আপনি বলতে বন্ধ করবেন কেন? নারীর হিস্যা জায়েজ নয়, ফরজ। এটা দেওয়া আবশ্যক। এটা কেউ না দিলে ব্যক্তি পর্যায়ে ধর্মীয় বিধান লঙ্ঘন করবে। কিন্তু, ইসলাম অবমাননা হয় না। এই লজিক দিয়ে আপনারা ইসলাম অবমাননাকে নরমালাইজ করতে পারবেন না।

নারীদের বিরুদ্ধে পুরুষতান্ত্রিক অবিচার বন্ধ করতে হবে, নারীদের কর্ম পরিবেশ, শিক্ষা পরিবেশ নিরাপদ করতে হবে, নারীদের বিরুদ্ধে ধর্মের নামে প্রহসন বন্ধ করতে হবে, বহু বিবাহের নামে স্ত্রীর প্রতি জুলুম করলে বিচার করতে হবে।

কিন্তু, নারী মৈত্রী নামে এই কালচারাল গান্ডুগিরি বন্ধ করতে হবে। নারী অধিকার নামে এনজিও, মিশনারি অ্যাকটিভিস্টদের আমাদের কোটি কোটি নারীদেরকে এক্সক্লুশন বন্ধ করতে হবে। অন্যের মতামতকে খারিজ করে, no debate বলে আবার নিজের এজেন্ডাকে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা বন্ধ করতে হবে।

পলিটিক্যাল শাহবাগকে দমন করার পর, কালচারাল শাহবাগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠলে ব্যাপারটা সুবিধার হবে না। ঘাপলা আছে বুঝতে হবে।

লেখক: কবি, অনুবাদক ও অ্যাকটিভিস্ট

আরএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ