রায়হান মুহাম্মাদ ইবরাহীম
নাগরিক কোয়ালিশন করেছেন। এখানে হুজুররা কই? বক্তার কাতারে নাই; শ্রোতার কাতারেও নাই! তারা কি দেশের নাগরিক না? ভাড়াটিয়া?
অথচ গত কয়েক দিনের আন্দোলনে ৮০% ছিল ইসলামপন্থী। ৮% পথচারী। এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী শক্তির নানা ব্যানার, বাম ও মেয়েরা মিলে বাকি ১২%।
একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তার রিপোর্ট এটি। তবে ইসলামপন্থীদের চিরদিনই অবহেলা করা হয়। উপদেষ্টা পরিষদে তারা নেই। একজন যাও আছেন, তাকে হিন্দু বৌদ্ধ ক্রিচিয়ান ও ইসলাম মিশ্রিত ধর্ম মন্ত্রণালয়েই আটকে রাখা হয়েছে। দেশ গঠন ও জনকল্যাণমুখী আর কোনো মন্ত্রণালয় দেওয়া হয় না। অথচ অনেক এনজিওবিদ একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রয়েছেন।
রাজনীতিতে সুবিধা, বিভিন্ন কার্যকর চেয়ার, রাষ্ট্রদূত, মেয়র পদ, ঐক্যবদ্ধ নির্বাচনী জোটে সম্মানজনক আসন বন্টন, আন্তরিকতার সঙ্গে সনদের স্বীকৃতি কার্যকর, মিডিয়ায় ইতিবাচক উপস্থাপন ইত্যাদি সব ক্ষেত্রে বঞ্চিত করা হয়।
জীবন দান, জেল জুলুম সহ্য, ত্যাগ সংগ্রাম ও কোরবানি ইসলামপন্থীরাই দেন, কিন্তু তাদের সাথে সবসময়ই প্রতারণা করা হয়।
এ অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে ইনশাআল্লাহ। তরুণদের পাওনা বুঝে নিতে হবে কড়ায় গন্ডায়। জুলাই বিপ্লবের এটাও একটা শিক্ষা।
লেখক: মাদরাসা শিক্ষক ও লেখক
এমএইচ/