শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের, ‘উসমান হাদির হত্যা মামলায় সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়’ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন

কওমি তরুণ যুদ্ধে তোমাকেও প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

|| মাসউদুল কাদির ||

আসুন আমরা ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের লাভক্ষতি নিয়ে আলোচনা করি। বাংলাদেশের করণীয় কী? কুরআন বলছে, প্রস্তুতি গ্রহণ করো।

আমরা কী করছি? যুগ যুগ পার হলেও আমাদের গ্রাস করছে দুর্নীতি। সেনা দিচ্ছে টহল। মিশনে যাওয়া ছাড়া আদতে কোনো প্র্যাকটিস আছে?

বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সেরা একটা বাহিনী তৈরিতেও আমাদের কতটুকু ভূমিকা আছে? 

জুইশ, কোরিয়ানরা তারুণ্যের বিপ্লবে যে প্রশিক্ষণ নেয় তা ভাবনীয়। 

আপনি বলবেন, আমাদের ছোট দেশ। চুপচাপ থাকাই ভালো। 

হ্যাঁ, আমি তা মানি। দুর্বল বলে নিজেকে আরো দুর্বল করে দেওয়া কি ঠিক। কিছুতেই আমি এটা মানতে রাজি নই- আমরা প্রস্তুতি থেকে বিমুখ হবো। কারণ, কুরআন সত্যটা বলেছে। প্রস্তুতি নাও। প্রস্তুতির মূল্য আছে। 

পৃথিবীর ইতিহাসে যারাই প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে তারা নিরাপদ রয়েছে। নেতৃত্ব দিয়েছে। 

আমরা যদি নবীজি হজরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়াল্লামের জীবনকে ধারণ করি, তবু প্রস্তুতি নিতে হবে আমাদের। কত ছোট ছোট দল নিয়ে নবীজি বড় দেশের সঙ্গে, একেকটা সুপার পাওয়ারের সঙ্গে বড় প্রস্তুতি নিয়েছেন। সফল হয়েছেন। আজও প্রস্তুতির বিকল্প নেই। জীবনে ব্যবহার করতে না পারলেও ট্রেনিং জরুরি। 

এখন কেবল সেনাবাহিনীর অস্ত্রের ট্রেনিং নিলেই চলে না। সাইবার হামলার প্রস্তুতিও বড় ভূমিকা রাখে। তথ্যপ্রযুক্তিকে হেলা করবার সুযোগ নেই।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধে আমরা ড্রোনের ব্যবহার দেখেছি। এটা আরো বাড়বে। ড্রোন তৈরির জন্য মেধাবীদের কাজে লাগাতে হবে। পৃথক সাইবার চ্যানেল তৈরি করে দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। 

বেইমান জীবন দিতে পারে না। দেশের জন্য লড়াই করতে ভয় পায়। তার বুক কাঁপে। চোর, বাটপার, দুর্নীতিবাজ কখনোই দেশের পক্ষের মানুষ নয়। তারা নিজের দেশের সুরক্ষা দেবে কীভাবে? 

প্রকৃত দেশপ্রেমী মানুষ তৈরির জন্য ঈমানদার সাচ্চা মুসলমান দরকার। সেনাবাহিনীতে মাদরাসার ছাত্রদের নিয়োগ দিন। তারা নিজেদের বুক চিতিয়ে দেশের পক্ষে দাঁড়াবে।

ইংরেজ খেদাও আন্দোলনে এরা ছিল, ৫২ তে এরা ছিল, ৭১ এ-ও এরা দেশের পক্ষেই ছিল। তবে তাদের নাম ব্যবহার করে বয়ান বিবৃতি দিয়ে মানহানি করা হয়েছে। একটি মহল তাদেরকে দেশবিরোধী আখ্যা দিয়েছে। 

২৪ এর জুলাইয়ের দগদগে রক্ত পিচ্ছিল পথে প্রাচীরের মতো দাঁড়িয়ে থেকে পলকে পলকে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে। দেশের মানুষের পক্ষে এরচেয়ে বড় নজরানা আর কি হতে পারে? ইংরেজবিরোধী আন্দোলন, শাপলা আর ২৪ যেন আলেমদের রক্তবন্যায় একাকার হয়ে গেছে। আলেমদের আর পেছনের কাতারের ভাবলে ভুল করবেন। 

সততা, নিষ্ঠা, আমানতদারিতার চরম অভিজ্ঞতা আলেমদের। অথচ দেশগঠনে আলেমদের সহযোগিতা নিলে রাষ্ট্রের কোটি কোটি বিলিয়ন ডলার বেঁচে যেত। 

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কওমি তরণদের নিয়ে ভাবতে পারে। এ তরুণদের জন্মই হয়েছে মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য। 

স্যালুর ডোনাল্ট ট্রাম্প। অস্ত্র বিক্রির চিন্তা বাদ দিয়ে যুদ্ধ বন্ধের সমঝোতা করেছেন।

লেখক: আলেম সাংবাদিক ও কথাশিল্পী

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ