শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫ ।। ১১ পৌষ ১৪৩২ ।। ৬ রজব ১৪৪৭

শিরোনাম :
ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের, ‘উসমান হাদির হত্যা মামলায় সরকারের ব্যর্থতা গ্রহণযোগ্য নয়’ আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মুসলিম শিক্ষককে গুলি করে হত্যা ইসলামপন্থীদের ‘একবাক্স নীতি’ কি মুখ থুবড়ে পড়ছে? শহীদ হাদির আদর্শ সামনে রেখে মিশরে 'আজহার আফকার'র যাত্রা আবারও বাংলাদেশি সন্দেহে ভারতে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে হত্যা তারেক রহমানের দেশে ফেরা গণতান্ত্রিক সংগ্রামের এক গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত ঢাকায় মহাসমাবেশের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের এভারকেয়ার থেকে গুলশানের বাসার উদ্দেশে তারেক রহমান সাহিত্য সভায় বিশেষ সম্মাননা পেলেন কবি ও লেখক মোহাম্মদ কুতুবউদ্দিন

তিন পুরুষের জমিয়ত উত্তরসূরী মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দী

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাওলানা মাহমুদ মাসরুর

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর পিতামহ এহসানুল হক আফেন্দী রহমতুল্লাহি আলাইহি ছিলেন ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা সংগ্রামের এক সাহসী অগ্রসৈনিক। তিনি শাইখুল ইসলাম হযরত হুসাইন আহমদ মাদানী রহমতুল্লাহি আলাইহির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে মহান বিপ্লবের পতাকাবাহী হন। ব্রিটিশ জালিম শাসনামলে দীর্ঘ কারাভোগের কারণে অসুস্থ হয়ে ইন্তেকাল করেন। আল্লাহ তাআলা তাঁর ওপর রহমত বর্ষণ করুন।

দীন, দেশ ও জাতির মুক্তি সংগ্রামে কোনো রাজনৈতিক দলের বর্তমান মহাসচিবের পারিবারিক কোরবানি ও অবদানের এমন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বিরল।

মাওলানা মঞ্জুরুল ইসলাম আফেন্দীর পিতা রশিদুল হাসান রহ. কে খেজুর গাছ প্রতীকের নির্বাচনকারী, ওলিকুল শিরোমণি, মাওলানা আব্দুল হালিম রহমতুল্লাহি আলাইহির নিকট সমর্পণ করেন। তিনি রংপুর বিভাগের পশ্চাদপদ পরিবেশ থেকে তাঁকে ওলামা বাজারের বরকতময় পরিবেশে নিয়ে আসা হয়।

তাঁর প্রাথমিক দীনি শিক্ষা শুরু হয় জমিয়তি চেতনার ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান ফেনীর ওলামা বাজার মাদ্রাসায়, দরসে নেজামির বুনিয়াদি স্তরে। পরবর্তীতে তাঁর মেধার যথোপযুক্ত পরিচর্যার জন্য ঢাকার আরজাবাদে হযরত মাওলানা শামসুদ্দীন কাসেমী রহমতুল্লাহি আলাইহির নিকট হস্তান্তর করা হয়। অতঃপর দারুল উলুম দেওবন্দে উচ্চতর শিক্ষা গ্রহণ করে আল্লামা নুর হোসাইন কাসেমী রহমতুল্লাহি আলাইহির সাহচর্যে জমিয়তি চেতনায় পূর্ণতা লাভ করেন।

আঁধারচারিতা, অসচ্ছ লেনদেন এবং সন্দেহপূর্ণ ব্যাকডোর রাজনীতি থেকে দূরে থেকে, আলেমসুলভ রাজনৈতিক শিষ্টাচার বজায় রাখার মাধ্যমে তিনি দীর্ঘ কর্মজীবনে জমিয়তের কর্মী ও সমর্থকদের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হন। হযরত মাওলানা আবু সাবের আব্দুল্লাহ দামাত বারাকাতুহুমের মতো অরাজনৈতিক দরবেশগণও দূর থেকে তাঁর প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করে থাকেন।

আশা করা যায়, তাঁর নেতৃত্ব কখনো আস্থার সংকটে পতিত হবে না এবং তাঁর জমিয়তি রক্তধারা অবিমিশ্র থাকবে।

পাকিস্তানে ইমামে ইনকিলাব মাওলানা ফজলুর রহমান আজও পরিপূর্ণ আব ও তাবে জীবিত থাকা সত্ত্বেও সেখানে জমিয়তের কয়েকটি ভগ্নাংশ সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন কারণে এ ধরনের ভাগশেষের উৎপত্তি ঘটে — কখনো এখলাসহীনতার কারণে, কখনো অকর্মণ্য ও পদলোভী অর্থলোভীদের কর্মকাণ্ডে, আবার কখনো দেশি-বিদেশি গোয়েন্দা সংস্থার চক্রান্তে। বাংলাদেশেও তেমন আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

তবে নিরলস প্রচেষ্টাই বড় হাতিয়ার। সমস্ত বাধা ও পিছুটান অতিক্রম করে তিনি সামনে এগিয়ে যাবেন — জমিয়তের বলয় সম্প্রসারণ করবেন এবং দেশের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবেন জমিয়তের দাওয়াত, জমিয়তের পয়গাম, আল্লাহর জমিনে আল্লাহর নেজাম।

আল্লাহর রহমত ও নুসরত তাঁর সঙ্গি হোক।

লেখক: তরুণ আলেম ও সংগঠক
শিক্ষক, জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা, ঢাকা

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ