রাজনৈতিক দলগুলো যদি গণভোটের বিষয়ে কোনো একক সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারে, তাহলে সরকারই এর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
রাজনৈতিক দলগুলোকে ঐকমত্যে পৌঁছে তাদের সিদ্ধান্তের কথা সরকারকে জানানোর বিষয়ে সোমবার বেলা সোয়া ১২টার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এসময় অন্য উপদেষ্টারা উপস্থিত ছিলেন।
আসিফ নজরুল বলেন, রাজনৈতিক দল যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী, তারা ১৫ বছর নিজেরা আলোচনা করে বহু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তারা অত্যন্ত প্রতিকূল সময়ে এক সঙ্গে আন্দোলন করেছেন, একসঙ্গে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। তারা নিজ উদ্যোগে আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবেন এই প্রত্যাশা করছি।
তিনি বলেন, আমি গতকালই দেখলাম, একটি দলের পক্ষ থেকে আলোচনার আহ্বান জানান হয়েছে, আমরা এটাকে স্বাগত জানাই।
এর আগে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য গণভোট আয়োজনের বিষয়ে সব রাজনৈতিক দলই একমত হয়েছিল ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে, যদিও গণভোট আয়োজনের সময় নিয়ে মতপার্থক্য রয়ে গেছে। কমিশন সনদ বাস্তবায়নের রূপরেখাতেও গণভোট আয়োজনের সুপারিশ রেখেছে। তবে গণভোট আয়োজনের তারিখ সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো সরকার ঘোষিত আগামী ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠেয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনই এই গণভোট চায়। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো এই নির্বাচন চায় নভেম্বরের মধ্যেই, না হলেও অন্তত জাতীয় নির্বাচনের আগে। এনসিপির অবশ্য গণভোট আয়োজনের তারিখ নিয়ে কোনো বিশেষ পছন্দ নেই।
এলএইস/