জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ জানিয়েছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিষয়ে কমিশন ২১ সেপ্টেম্বরের (রোববার) মধ্যেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে চায়। তবে নির্ধারিত সময়ে সিদ্ধান্ত না হলে বিষয়টি ২ অক্টোবরের পর পর্যন্ত গড়াতে পারে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার শুরুতে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি জানান, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের জন্য বিশেষজ্ঞরা চারটি পদ্ধতির প্রস্তাব দিয়েছেন—অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ, গণভোট এবং বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, কমিশনের মেয়াদ এক মাস বাড়ানো হলেও দীর্ঘ সময় ধরে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার কোনো ইচ্ছা নেই। দ্রুততম সময়ে ঐকমত্যে পৌঁছানোই তাদের লক্ষ্য।
তিনি আরও জানান, ২১ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে নিউইয়র্কে যাচ্ছেন এবং ২ অক্টোবর দেশে ফিরবেন। তার আগেই কমিশন একটি সমঝোতায় পৌঁছাতে চায়।
আশাবাদ ব্যক্ত করে আলী রীয়াজ বলেন, গণভোট ও সাংবিধানিক আদেশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে ভিন্নমত ছিল, তা বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের ভিত্তিতে কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এর আগে গত ১২ ফেব্রুয়ারি সরকার কমিশনটি গঠন করে। এতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে সভাপতি এবং সংবিধান সংস্কার কমিশন প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজকে সহ-সভাপতি করা হয়।
এমএইচ/