জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাম্প্রতিক অস্থিরতা ও রাজস্ব আদায়ে প্রভাবের প্রেক্ষাপটে এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, “আশা করছি ভবিষ্যতে এ ধরনের সমস্যায় যেতে হবে না।”
সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে রাজস্ব ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
চেয়ারম্যান জানান, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে সোমবার সকাল পর্যন্ত ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যেই রাজস্ব আরও বাড়বে। প্রাথমিক হিসাবেই বলা যায়, গত বছরের তুলনায় রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হবে।”
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে (২০২৩-২৪) এনবিআর ৩ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল। চলতি অর্থবছরে সরকারের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা, যা পরবর্তীতে কমিয়ে ৪ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকায় নির্ধারণ করা হয়।
তবে বাস্তবায়িত আদায়ের পরিসংখ্যান অনুযায়ী লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় এক লাখ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা দিতে পারে, যা এনবিআরের ইতিহাসে নজিরবিহীন।
গত মে মাসে অর্থ মন্ত্রণালয় এনবিআর বিলুপ্ত করে দুই ভাগে ভাগ করার সিদ্ধান্ত জানালে এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ ছড়িয়ে পড়ে। তারা ‘সংস্কার ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে আন্দোলনে নামেন।
২৫ মে সরকার ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে অধ্যাদেশ সংশোধনের আশ্বাস দিলে আন্দোলন সাময়িক স্থগিত হয়। কিন্তু ২২ জুন থেকে আন্দোলন আবার জোরালো হয়, এবং চেয়ারম্যানের অপসারণ-এর দাবি তোলে অংশগ্রহণকারীরা।
২৯ জুন দেশজুড়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ও ‘মার্চ টু এনবিআর’ কর্মসূচি পালন করেন কর, মূসক ও শুল্ক দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান খান বলেন, “আমি এনবিআরের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আহ্বান জানাবো— অতীত ভুলে রাষ্ট্রীয় স্বার্থে নিজেদের দায়িত্ব পালনে মনোযোগ দিন। আমাদের দক্ষতা ও ঐক্যই আগামী দিনের কর ব্যবস্থার ভিত্তি।”
এই বক্তব্য ও পরিস্থিতি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে সরকার এবং রাজস্ব প্রশাসনের মধ্যে বিদ্যমান দ্বন্দ্ব এখনো পুরোপুরি নিরসন হয়নি, তবে উভয় পক্ষই আপাতত সমঝোতার পথে এগোচ্ছে।
আপনি যদি চান, আমি এই বিষয়টি নিয়ে একটি মতামত কলাম বা বিশ্লেষণাত্মক রিপোর্টও তৈরি করে দিতে পারি।
এসএকে/