বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ ।। ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৮ জিলহজ ১৪৪৬


জুলাই সনদে দেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করা আমাদের লক্ষ্য: প্রধান উপদেষ্টা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, ‌জুলাই সনদে দেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ গড়াই আমাদের লক্ষ্য। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকে দ্বিতীয় দফা শুরু হলো।

সোমবার (২ জুন) বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিতে বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে যায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদল। বিকেল সাড়ে ৪টার পর থেকে এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে স্বাগত বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন।  

সংলাপে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলগুলোকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমি সারা দিন যত মিটিং করি, সবচেয়ে বেশি আনন্দ পাই যখন আপনাদের সঙ্গে এভাবে বসতে পারি, আলাপ-আলোচনা করতে পারি। কারণ এখানেই আমরা সবাই মিলে বাংলাদেশের প্রকৃত ভবিষ্যৎ রচনা করতে যাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “এটা আমার জন্য শিহরণ জাগানোর মতো ব্যাপার যে এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে আমি অংশগ্রহণ করতে পেরেছি। আপনাদের কথা শুনে কিভাবে আমরা এই পথপরিক্রমা এগিয়ে নিয়ে যাব, কোথায় নিয়ে যাব—তা জানার সুযোগ পাচ্ছি।”

সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে ড. ইউনূস বলেন, “আমাদের ওপর দায়িত্ব ছিল সংস্কার করার জন্য। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না কোথা থেকে শুরু করবো। তারপর আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হলো যে কিছু কমিশন গঠন করা হবে, যেগুলো প্রকৃতভাবে ভেতরে গিয়ে কাজ করবে। এটা দীর্ঘ প্রক্রিয়া, তবে শেষে আমরা ৬টি কমিশন গঠন করলাম, পরে আরো ৬টি কমিশন যোগ হলো। তাদের ৯০ দিনের সময় দিয়েছিলাম।”

তিনি জানান, “আমি খুবই আনন্দিত যে তারা কাজটি সফলভাবে করেছে। কিছু কমিশন একটু বেশি সময় নিয়েছে, তাতে কোনো সমস্যা হয়নি। কমিশনগুলোর রিপোর্ট পেয়েছি এবং সেই রিপোর্টের আলোকে আমরা ঐকমত্য গঠনের চেষ্টা করছি।”

ড. ইউনূস আরও বলেন, “প্রফেসর আলী রিয়াজের সঙ্গে বৈঠক করলে আমি খুবই আনন্দিত হই। যেভাবে আপনি (আলী রিয়াজ) সহযোগিতা করেছেন, তাতে আমি সত্যিই মুগ্ধ। সবার আগ্রহের পরিমাণ আমাকে অত্যন্ত আশ্চর্য করেছে। তারা শুধু কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেনি, নিজেদের মধ্যে আলাপ করে আন্তরিকভাবে কাজটি এগিয়ে নিয়েছে।”

প্রধান উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “আমার ধারণা ছিল হয়তো সবাই এত আগ্রহী হবে না, কিন্তু আমি অবাক হয়েছি যে সবাই খুব গভীরভাবে বিষয়টির সঙ্গে জড়িত হয়েছে। তর্ক-বিতর্ক করে তারা কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছে। আমার মনে হয়, যদি সবাই এমন আগ্রহ নিয়ে কাজ করি, তাহলে অবশ্যই ভালো কিছু আসবে।”

তিনি বলেন, “প্রথম পর্ব শেষ হয়েছে। এখন আমরা যেসব সুপারিশ করেছি, কিভাবে ঐকমত্যে পৌঁছেছি—এ সব কিছু মিলিয়ে আমরা জুলাই সনদটি প্রস্তুত করবো। যেখানে দেশের সব পক্ষের ঐকমত্য প্রকাশ পাবে।”

তিনি আরও বলেন, “দ্বিতীয় পর্বে কিছু বিষয় রয়েছে, যা আমরা আরও কিছু সুপারিশ যোগ করতে পারি। আমাদের লক্ষ্য হলো, যতটুকু দূরত্ব ছিল তা ঘুচিয়ে এনে, জাতীয় ঐকমত্যে পরিণত করতে। এই সনদে দেশের উন্নয়ন এবং একতার জন্য আমাদের গর্বিত হওয়া উচিত।”

সর্বশেষ, তিনি বলেন, “আমরা একত্রিত হয়ে দেশকে উন্নতির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, এবং আমি আশা করি আমরা একটি অত্যন্ত চমৎকার জুলাই সনদ তৈরি করতে সক্ষম হব।”

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ