মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫ ।। ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ ।। ৬ মহর্‌রম ১৪৪৭

শিরোনাম :
মানবিক-ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার সময় এখনই : তারেক রহমান যেকোনো দিন গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে: ট্রাম্প জামিয়া মাদানিয়া বারিধারা মাদরাসার ইসলাহি মজলিস বৃহস্পতিবার ‘জুলাই ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে না পারা এই সরকারের বড় ব্যর্থতা’ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেই মৃত্যুদণ্ড, ইরানে নতুন আইন ইসরাইলের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের আহ্বান ইরানি সুন্নি আলেমদের মিশরে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের গৌরবময় অর্জন আফগানিস্তানে অনৈসলামিক কার্যকলাপের অভিযোগে গুঁড়িয়ে দেয়া হল মাজার দুঃখ প্রকাশ না করা পর্যন্ত শান্তি পাবে না: আ. লীগকে শফিকুল আলম জুলাই বিক্রি হয়ে গেছে : আবু ত্ব-হা মুহাম্মদ আদনান

কে হচ্ছেন তথ্য উপদেষ্টা, আলোচনায় থাকছেন যারা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার



নতুনভাবে এ রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব নিতে উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি  তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন। তার পদত্যাগের পর দুটি মন্ত্রণালয়ের শূন্য পদের দায়িত্বে কে আসছেন এমন আলোচনা শুরু হয়েছে। নতুন কাউকে দায়িত্ব না দেওয়া পর্যন্ত  আপাতত দেখভাল করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সরকারের দায়িত্বশীল একটি সূত্র বলছে, নাহিদের স্থলে তিনজনের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন-উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম ও প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দার। এই তিনজনের মধ্যে মাহফুজ আলমের নাম বেশি শুনা যাচ্ছে।

তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলমকে বেশি পছন্দ ছিল প্রধান উপদেষ্টার। সে হিসেবে তাকে অফারও করা হয়। তিনি উপদেষ্টা হলে সরকারের মুখপাত্র হিসেবে মিডিয়ার সামনে বক্তব্য দেওয়ার দ্বিতীয় ব্যক্তি না থাকায় সেটি আর সামনে এগোয়নি। পরে তাকে সিনিয়র পদমর্যাদা দেওয়া হয়। আর সম্প্রতি সিনিয়র সচিবের পদ মর্যাদা প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হয়েছেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মনির হায়দার। তাকে মূলত প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে গঠিত (ঐকমত্য গঠন কমিশনের) কাজে লাগাতে চান ড. ইউনূস। সে হিসেবে মাহফুজ আলম তথ্য উপদেষ্টা হিসেবে এগিয়ে আছেন।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমের পক্ষে থেকে জানতে চাইলে, মাহফুজ আলম কোনো মন্তব্য করতে চাননি। আর প্রেস সেক্রেটারি শফিকুল আলম এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর সূত্র বলছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী বা উপদেষ্টার মূল কাজ সরকারের ভাবনা জনগণের কাছে পৌঁছানো। সেই কাজের বেশিরভাগই করে দিচ্ছেন প্রেস সেক্রেটারি। সপ্তাহে দুই বা তিনদিন কখনও তার বেশি সময় নিয়মিত ব্রিফিং করছেন শফিকুল আলম। সেসব ব্রিফিং সরকারের নেওয়ার বিভিন্ন উদ্যোগ, সমস্যা, আইন শৃঙ্খলা ও অর্থনীতি পরিস্থিতির চিত্র তুলে ধরছেন। সে হিসেবে তথ্য উপদেষ্টার কাজটি প্রেস সেক্রেটারি করে দিচ্ছেন।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্যমতে, নাহিদ ইসলামের পদত্যাগের পর এখন দুই মন্ত্রণালয় শূন্য হয়েছে। ফলে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব প্রধান উপদেষ্টার কাছে ন্যস্ত হয়েছে। তিনিই উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করবেন।

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপদেষ্টা পরিষদে আজ দপ্তর পুনর্বণ্টনের সম্ভাবনা কম। তবে শিগগিরই তা হতে পারে। সরকারি একটি সূত্র জানিয়েছে, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পদে সরকারের আরেক উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম আসতে পারেন বলে আলোচনা হচ্ছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও জানা যায়নি।

মাহফুজ আলম গত বছরের ১০ নভেম্বর উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। তবে তিনি কোনো মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন না। এর আগে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ২০ দিনের মাথায় ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হিসেবে তাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক করেছেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন প্ল্যাটফর্মের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মাহফুজ আলম। আন্দোলনে তিনি রাজনৈতিক-বুদ্ধিবৃত্তিক সহযোগীর দায়িত্বে ছিলেন। গণ–অভ্যুত্থানের পর ছাত্র, নাগরিক ও অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে যোগাযোগ রক্ষার জন্য গঠিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ছিলেন তিনি।

এনআরএন/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ