মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
জামায়াতের রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাওয়ার প্রশ্নই আসে না: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ময়মনসিংহে ইসলামি বইমেলা শুরু ১৩ নভেম্বর ভারতের পুনে দুর্গে নামাজ আদায় করা নিয়ে দেশভর তোলপাড় ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের আরও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে: শায়খে চরমোনাই কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত 'বাংলাদেশ' নামের পত্রিকা : স্বাধীনতার ৩৩ বছর আগের এক ঐতিহাসিক দলিল ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি বাতিল হওয়ার খবরটি ভুল : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা নাতির কাছে কায়দা শিখছেন অভিনেতা মিশা সওদাগর জামায়াত সেক্রেটারি পরওয়ারের বক্তব্য ঔদ্ধত্যপূর্ণ: এনসিপি ইউএস-বাংলার বহরে যুক্ত হলো তৃতীয় এয়ারবাস এ৩৩০ সম্পন্ন হলো আবু ত্বহা ও সাবিকুন নাহারের তালাক

জাতিগতভাবে এক পরিচয় নিশ্চিত করতে হবে : ড. মাসুদ

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

পাহাড়িদের নিরাপত্তার নামে তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে আলাদা করতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রতিবেশী রাষ্ট্র। শান্তি চুক্তির নামে শেখ হাসিনা পুরো দেশের জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

রবিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যা : উত্তরণে রাজনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 
 
তিনি আরও বলেন, আদিবাসী, উপজাতি নামে বিভেদ এবং বৈষম্য সৃষ্টি করা হচ্ছে। ধর্মবর্ণ জাতি-গোষ্ঠী ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে কিন্তু দেশ হিসেবে আমাদের সকলের পরিচয় আমরা বাংলাদেশি। 

ড. মাসুদ বলেন,  শান্তি চুক্তির নামে শেখ হাসিনা পুরো দেশের জনগণের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করেছে। বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে। শান্তি চুক্তি করে খুনি শেখ হাসিনা নিজেকে শান্তির পক্ষের নেত্রী হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছে। গণহত্যার নিদের্শদাতা শেখ হাসিনা কখনো শান্তির পক্ষের নেত্রী হতে পারে না। মূলত হাসিনা এই শান্তি চুক্তির মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্য বিস্তারের পথ তৈরি করে দিয়েছে। পার্বত্য অঞ্চলের সমস্যা রাজনৈতিক নয়, ভৌগোলিক সমস্যা। আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র পার্বত্য অঞ্চলের জনসাধারণকে উসকে দিয়ে কখনো কখনো নৈরাজ্য সৃষ্টির চেষ্টা করে। আমাদের দেশের কোন অঞ্চলে সেনাবাহিনী থাকবে সেটা আমাদের আভ্যন্তরীণ বিষয়। কিন্তু ভারত কেন পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহারের জন্য উঠেপড়ে লেগেছে? কারণ হিসেবে ড. মাসুদ বলেন, পাহাড় থেকে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে পারলে সেখানে তারা জমিদারি করতে পারবে। ভারতের জমিদারি এদেশের জনগণ কখনো ভালো চোখে দেখেনি। দেখবে না। 

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ‘শান্তি চুক্তি’ বাতিল করে সকল নাগরিকের সমান অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানাচ্ছে উল্লেখ করে ড. মাসুদ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, সংবিধান সংস্কারকালে শান্তি চুক্তি বাতিল করে এদেশের প্রত্যেক অঞ্চলের জনগণের এক ও অভিন্ন পরিচয় ‘আমরা সবাই বাংলাদেশি’ নিশ্চিত করতে হবে। রাষ্ট্রের মধ্যে জাতিগত বিভাজন কখনো কল্যাণকর হতে পারে না। এসব বিভাজন সৃষ্টি করে ভিনদেশীরা নিজেদের ফায়দা লুটতে চায়। তাই দেশপ্রেমিক সকল নাগরিকদের সজাগ থাকতে হবে।  

অনুষ্ঠানে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, বিএনপি জাতিগত বিভাজনে বিশ্বাসী নয়। এই শান্তি চুক্তি বাতিলের দাবিতে তৎকালীন সময়ে রাজপথে আন্দোলন করেছে বিএনপি। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, মমিনুল আমিন, মজিবুর রহমান হামিদী, ডক্টর নিয়ামুল বাসির প্রমুখ। 

এমএইচ/

 

 


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ