বৃহস্পতিবার, ০১ মে ২০২৫ ।। ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ ।। ৩ জিলকদ ১৪৪৬

শিরোনাম :
বিএনপির শ্রমিক সমাবেশ জনসমুদ্র, বক্তব্য রাখছেন শীর্ষ নেতারা শ্রমিকদের অবস্থা পরিবর্তন না করে বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয় : প্রধান উপদেষ্টা ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগ সুকুক শিগগিরই ইস্যু হচ্ছে হেফাজতের মহাসমাবেশ সফল করতে হাটহাজারী মাদরাসার মহাপরিচালকের আহ্বান ইসরায়েলে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে শ্রমিকের অধিকার ও মর্যাদা  নিশ্চিত করতে হবে: জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ‘ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম দেওবন্দ’ কীভাবে সংকলিত হয়, কেন গুরুত্বপূর্ণ সৌদি পৌঁছেছেন সাড়ে ৯ হাজার হজযাত্রী ‘আমরা প্রস্তুত, পরীক্ষা নিও না’ হুঁশিয়ারি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উপন্যাসে মুসলমানদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত তুলে ধরেন তিনি

নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ নিরসনে আত্মোপলব্ধি জাগরিত হোক: খেলাফত মজলিস

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

টঙ্গী এজতেমা ময়দানে অবস্থানরত মুসল্লীদের উপর গভীর রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় তাবলীগ জামায়াতের ৩জন সদস্য নিহত ও বহু হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে খেলাফত মজলিস।

আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক যুক্ত বিবৃতিতে খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, শুরু থেকেই ওলামায়ে কেরামের তত্ত্বাবধানে তাবলীগ জামায়াত বিশ্বব্যাপী ইসলামের দাওয়াত ও তালীমের কাজ আঞ্জাম দিয়ে যাচ্ছে। অসংখ্য অমুসলিমের ইসলাম গ্রহণ এবং সাধারণ মুসলমানের ইসলামের প্রতি অনুরাগী হওয়ার ক্ষেত্রে এই জামায়াতের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।

কিন্তু দুর্ভাগ্যক্রমে এই দাওয়াতি সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে বিগত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে অনেক হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ গতকাল গভীর রাতে টঙ্গীর এজতেমা মাঠে হামলায় ৩জনের মৃত্যু ঘটে এবং আহত হয়েছেন আরো অনেকে। ভারতের দিল্লী মার্কাজের আমির মাওলানা সাদের বাংলাদেশী প্রায় ৪০ হাজার অনুসারী গতকাল রাতে টঙ্গীর এজতেমা মার্কাজ দখল করতে গিয়ে এই ঘটনার সূত্রপাত বলে নির্ভরযোগ্য মিডিয়া থেকে জানা যায়। এতে বাংলাদেশের ওলামায়ে কেরামের শূরায়ী তত্ত্বাবধানে পরিচালিত মার্কাজের সাথীরা হতাহত হয়েছেন।

আমরা এই ধরণের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মাঠে উপস্থিত মুসল্লীদের নিরাপত্তা দিতে প্রশাসনিক ব্যার্থতার নিন্দা জানাচ্ছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে হামলা ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলকে গ্রেফতার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এই ঘটনার সাথে পতিত স্বৈরাচারের কোন ইন্ধন আছে কি না তা খতিয়ে দেখতে হবে এবং ঘটনার ইন্ধনদাতাদেরকেও আইনের আওতায় আনতে হবে। বিবাদমান দু’টি গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানাচ্ছি। এই ধরণের দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে দীর্ঘস্থায়ী দ্বন্দ্ব-সংঘাত মুসলমানদের জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনবে না। এতে দেশ ও ইসলাম বিরোধীদের শক্তি বৃদ্ধি ছাড়া আপাতত কোন লাভ নেই। সাধারণ মুসলমানের কাছে সামাজিক ও দ্বীনি প্রতিষ্ঠান হিসেবে দাওয়াতে তাবলীগের গ্রহণযোগ্যতা নষ্ট হবে। নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ নিরসনে আত্মোপলব্ধি জাগ্রত হোক। এজন্য মহান আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি।

হাআমা/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ