উপসাগরীয় দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) জমাদিউস সানি মাসের চাঁদ দেখা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার (আইএসি)।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ইসলামিক চাঁদ পর্যবেক্ষণ প্রকল্পের (আইসিওপি) সদস্যদের পাঠানো তথ্য যাচাই করে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
চাঁদটি অ্যাস্ট্রোফটোগ্রাফির মাধ্যমে মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও লিবিয়া থেকে ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া ইরানে দূরবীন ও টেলিস্কোপ ব্যবহার করে চাঁদ দেখার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। আর ইয়েমেন, মরক্কো ও ঘানায় খালি চোখেই চাঁদ দেখার খবর এসেছে। মোট ৯ দেশে চাঁদ দেখা যাওয়ায় জমাদিউস সানি মাস নিশ্চিত হলো।
কেন এত গুরুত্বপূর্ণ এই মাস?
জমাদিউস সানি হিজরি চন্দ্রবর্ষের ষষ্ঠ মাস। যদিও মাসটি সরাসরি কোনো ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার সঙ্গে যুক্ত নয়, তবে রমজান শুরুর সম্ভাব্য সময় নির্ধারণে এটি গুরুত্বপূর্ণ একটা ভূমিকা পালন করে।
গালফ নিউজের প্রতিবেদনে জানানো হয়, মাসটি নিশ্চিত হওয়ায় এখন রমজান ১৪৪৭ হিজরির ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে।
বর্তমান জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক হিসাব অনুযায়ী, রমজান শুরুর আর ৮৮–৯০ দিন বাকি। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত প্রচলিত চাঁদ দেখার নিয়ম অনুযায়ী ঘোষণা করা হবে।
২০২৬ সালের রমজান ও ঈদ সম্পর্কে জ্যোতির্বৈজ্ঞানিক পূর্বাভাস
এর আগে সংযুক্ত আরব আমিরাতের এমিরেটস অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটির চেয়ারম্যান ইব্রাহিম আল জারওয়ান জানান—
রমজান ১৪৪৭ হিজরির নতুন চাঁদ মঙ্গলবার, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ সালে দেখা যেতে পারে, যদিও চাঁদ দেখা কিছুটা কঠিন হতে পারে।
রমজান সম্ভবত ১৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার শুরু হতে পারে এবং ৩০ দিনব্যাপী চলতে পারে।
এ হিসেবে ঈদুল ফিতর হতে পারে শুক্রবার, ২০ মার্চ ২০২৬।
যেহেতু আরবের দেশগুলোয় যেদিন ঈদ পালিত হয় তার একদিন পর বাংলাদেশে ঈদ উদযাপন হয়। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে ২০২৬ সালের ২১ মার্চ বাংলাদেশে ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ধরা হচ্ছে।
যদি রমজান পূর্ণ ৩০ দিনের হয়, তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ছুটির ক্যালেন্ডারে ৩০তম দিনটি ঈদের ছুটির সঙ্গে যুক্ত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, জমাদিউস সানি নিশ্চিত হওয়ায় রজব, শাবান ও রমজানের সম্ভাব্য সময়-সূচি এখন আগের চেয়ে আরও পরিষ্কার।
এলএইস/