সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫ ।। ২৫ কার্তিক ১৪৩২ ।। ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

শিরোনাম :
মুফতি হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত, দোয়া কামনা ইকবাল ও নজরুলের দর্শন নিয়ে ঢাবিতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন কুশিয়ারা নদীর ভাঙন এলাকা পরিদর্শনে মাওলানা ফখরুল ইসলাম স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পরিকল্পনা উপদেষ্টা আসিফের চলতি সপ্তাহে পেঁয়াজের দাম না কমলে আমদানি : বাণিজ্য উপদেষ্টা সৌদিতে মসজিদে হামলার পরিকল্পনার দায়ে দু’জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর সেনাবাহিনীর সদস্যদের মাঠ থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ইসলামী ব্যাংকের সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা লুটপাট, দুদকের মামলা পাকিস্তানে সংবিধান সংশোধন নিয়ে বিতর্ক, আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিরোধীদের সমঝোতা না হলে এককভাবেই নির্বাচন করবে জমিয়ত: মাওলানা ইউসুফী

৬ মাসে কোরআনের হাফেজ হলেন ১১ বছরের শিশু


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

মাত্র ৬ মাসে পবিত্র কোরআন শরিফ মুখস্থ করে হাফেজে কোরআনের মর্যাদা অর্জন করেছেন ১১ বছর বয়সী শিশু মাহমুদ হাসান।

বাগেরহাট সদর উপজেলার পশ্চিম বাসাবাটি, দরাটানার ৯নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহমুদ হাসান। বর্তমানে পুরাতন কোর্ট চত্বর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মডেল হাফিজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছেন তিনি।

তার বাবা মো. মামুন মোল্লা দিনমজুরির কাজ করে এবং মা মোসা. মারুফা আক্তার সাধারণ গৃহিণী। তিন ভাইয়ের মধ্যে মাহমুদ দ্বিতীয়। এর আগে তিনি বাসাবাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেন।

ছোট থেকেই ইসলামি পড়াশোনার প্রতি গভীর আগ্রহ দেখে বাবা-মা তাকে হাফিজিয়া মাদ্রাসায় ভর্তি করেন। তারপর থেকেই শুরু হয় মাহমুদের নিরলস পরিশ্রম। প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে কোরআন তিলাওয়াত ও মুখস্থ করায় মগ্ন থাকতেন মাহমুদ।

বাগেরহাট শহরের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ মডেল হাফিজিয়া মাদ্রাসার তত্ত্বাবধায়ক ও ইমাম ও খতিব মাওলানা রুহুল আমিন খান বলেন, মাহমুদ অত্যন্ত মেধাবী, মনোযোগী, শৃঙ্খলাপরায়ণ ও ভদ্র ছাত্র। ছয় মাসে ৩০ পারা মুখস্থ করা সাধারণ মানুষের পক্ষে কল্পনাতীত। কিন্তু মাহমুদ তার অদম্য ইচ্ছাশক্তি, অগাধ মনোযোগ ও আল্লাহর রহমতে সেটা সম্ভব করেছে। সে কখনো পড়াশোনায় অলসতা করেনি, বরং সবার আগে এসে সবার শেষে মাদ্রাসা ছাড়ত। আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সে ইসলামের একজন যোগ্য দাঈ হয়ে দেশের মুখ উজ্জ্বল করবে।

হাফেজ মাহমুদের বাবা মামুন মোল্লা বলেন, আমি দিনমজুর মানুষ, প্রতিদিনের আয়ে সংসার চলে। কিন্তু সবসময় চেয়েছি আমার সন্তান যেন আল্লাহর কালাম মুখস্থ করে মানুষ হয়। মাহমুদ আজ হাফেজ হয়েছে, এটা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। তার এই সাফল্য আমার কষ্টকে সার্থক করেছে। আমার মৃত্যুর পর যেন আমার ছেলে আমার জানাজাটা পড়াতে পারে এটাই আমার শেষ চাওয়া।

মা মারুফা আক্তার বলেন, ছোট থেকেই আমার ছেলে নামাজ-রোজায় আগ্রহী ছিল। আমি সবসময় তার জন্য দোয়া করেছি যেন আল্লাহ তাকে কোরআনের আলোয় আলোকিত করেন। ছয় মাসে হাফেজ হওয়া সত্যিই এক অলৌকিক ব্যাপার। এটা আল্লাহর অসীম দয়ায় সম্ভব হয়েছে।

এমএম/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ