মঙ্গলবার, ০৭ অক্টোবর ২০২৫ ।। ২২ আশ্বিন ১৪৩২ ।। ১৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
৫ দফা দাবিতে ঢাকায় গণমিছিল করবে ইসলামী আন্দোলন আল-আজহারের প্রখ্যাত আলেম ড. আহমদ ওমর হাশেমের ইন্তেকাল ঢাকা-৭ আসনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর গণসংযোগ ডাকসুর এজিএস মহিউদ্দীন খানকে সংবর্ধনা দিলো শৈশবের মাদরাসা ‘জুনায়েদ বাবুনগরীকে কোটি টাকায়ও কিনতে পারেনি শেখ হাসিনা’ আল্লাহ তাআলা কোরআন অবমাননাকারীর জন্য যে কঠিন শাস্তি রেখেছেন। অপূর্ব পালের কুরআন অবমাননার প্রতিবাদে শাহপরানে ছাত্র জমিয়তের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত নির্বাচনী কর্মকর্তারা পক্ষপাতিত্ব করলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে ইসি নির্বাচন অবাধ ও গ্রহনযোগ্য করতে জাতিসংঘের সহায়তা চায় জামায়াত ফেরেশতারা নারী না পুরুষ? ইসলামি দৃষ্টিকোণ

আল্লাহ তাআলা কোরআন অবমাননাকারীর জন্য যে কঠিন শাস্তি রেখেছেন।

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ বিন আলমগীর

মহান আল্লাহ তাআলা মানবজাতির হিদায়াতের জন্য পবিত্র কোরআন নাজিল করেছেন। কোরআন অবতীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে দুনিয়ার মানুষ আলোর পথ, সত্য ও ন্যায়বিচারের শিক্ষা লাভের সুযোগ পেয়েছে। আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করে—

“এ সেই কিতাব,যাতে কোন সন্দেহ নেই। এটি পথপ্রদর্শক পরহেযগারদের জন্য।”

(সূরা বাকারা: ২)

আল্লাহ তাআলা আরও বলেন—“রমজান মাস হলো সেই মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। এটি মানবজাতির জন্য হেদায়েত, স্পষ্ট দিকনির্দেশনা এবং সত্য-মিথ্যার মাঝে পার্থক্যকারী।”

(সূরা বাকারা: ১৮৫)

আরেক স্থানে আল্লাহ ঘোষণা করেন—“নিশ্চয় আমিই এ কোরআন নাজিল করেছি এবং আমিই এর সংরক্ষক।”

(সূরা হিজর: ৯)

কোরআনের মর্যাদা ও গুরুত্ব

সাহাবি হযরত আবু জর গিফারি (রাঃ) বর্ণনা করেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিকট নসিহত প্রার্থনা করি। তিনি বলেন, “তুমি তাকওয়া অবলম্বন করো। কারণ তাকওয়া সকল নেক আমলের মূল।” আমি আবার অনুরোধ করলে তিনি বলেন, “কোরআন তেলাওয়াতের অভ্যাস করো। কারণ এটি দুনিয়াতে তোমার জন্য নূর এবং আখেরাতের জন্য অমূল্য ধনভাণ্ডার।”

(ইবনে হিব্বান)

অতএব তাকওয়া ও কোরআনের সঙ্গে সম্পর্কই মুমিনের জীবনের মূল ভিত্তি। যে অন্তরে আল্লাহর ভয় জাগ্রত থাকে, সে গুনাহ থেকে বিরত থাকে এবং সর্বদা সৎপথে অটল থাকে।

কোরআন অবমাননার ভয়াবহতা

কোনো মুসলমানের পক্ষে কোরআন অবমাননা করার কথা চিন্তাও করা যায় না। কিন্তু যদি কেউ কোরআনের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, অবমাননা করে কিংবা উপহাস করে—তাহলে সে ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদ বলে গণ্য হবে। ইসলামী শরীয়তের বহুপ্রাচীন ফিকহী বিধান অনুযায়ী, এমন অপরাধের জন্য কঠিন শাস্তি নির্ধারিত হয়েছে।

আল্লাহ তাআলা বলেন—“যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে এবং দেশে বিপর্যয় সৃষ্টি করে, তাদের শাস্তি হলো—হত্যা, শূলীতে চড়ানো, হাত-পা বিপরীত দিক থেকে কেটে ফেলা অথবা দেশ থেকে নির্বাসিত করা। এ হলো তাদের জন্য দুনিয়ার লাঞ্ছনা, আর আখেরাতে রয়েছে কঠিন শাস্তি।”

(সূরা মায়িদাহ: ৩৩)

মুরতাদের পরিণতি

মুরতাদের পরকালের শাস্তি সম্পর্কেও আল্লাহ স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন— “তোমাদের মধ্যে যারা নিজেদের দ্বীন থেকে ফিরে দাঁড়াবে এবং কাফের অবস্থায় মৃত্যুবরণ করবে, তাদের দুনিয়া ও আখেরাতের সমস্ত আমল বিনষ্ট হয়ে যাবে। আর তারা জাহান্নামবাসী হবে—সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।”

(সূরা বাকারা: ২১৭)

উপসংহার

পবিত্র কোরআন হলো আল্লাহর কালাম, বিশ্ব মানবতার হিদায়াতের শ্রেষ্ঠ গ্রন্থ। এটি তুচ্ছতাচ্ছিল্য বা অবমাননা করার অর্থ হলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করা। এমন ঘৃণ্য কর্মের শাস্তি দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জায়গাতেই ভয়াবহ। এজন্য প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য হলো কোরআনকে ভালোবাসা, সম্মান করা, তেলাওয়াত করা এবং এর শিক্ষা অনুসারে জীবন গঠন করা।

শিক্ষার্থী : জামিয়া কোরআনিয়া আরাবিয়া লালবাগ মাদ্রাসা ঢাকা।


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ