শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫ ।। ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ১৭ জিলহজ ১৪৪৬


মুমিনের জীবনে সময়ের সুষ্ঠু ব্যবহার ও পরিপূর্ণতা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সময় জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ—এই বার্তা ইসলাম শুধু জানায় না, বরং একজন মুসলিমকে শেখায় কীভাবে সময়কে ব্যবহার করে দুনিয়া ও আখিরাতে সফল হওয়া যায়। ইসলামী জীবনধারায় সময় ব্যবস্থাপনা শুধু কাজের সুচিন্তিত তালিকা নয়, বরং ইবাদত, শিক্ষা, পরিবার ও সমাজের মধ্যে ভারসাম্য আনার এক মহৎ পদ্ধতি।

কুরআনুল কারীমে সূরা আল-আসরে আল্লাহ তায়ালা ঘোষণা করেছেন, “শপথ সময়ের, নিশ্চয়ই মানুষ ক্ষতির মধ্যে রয়েছে।” (আসর: ১-২)। আর মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেন, “দুইটি নেয়ামতের কদর মানুষ বুঝে না—সুস্থতা এবং অবসর সময়।” (বুখারি)

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসলামী টাইম ম্যানেজমেন্ট একটি পূর্ণাঙ্গ লাইফস্টাইল। একজন মুমিন দিনের সূচনা করেন ফজরের নামাজ দিয়ে, যা তার দিনের সময় ব্যবস্থাপনার ভিত্তি। ফজরের পরের সময়কে ইসলাম ‘বরকতময়’ বলে ঘোষণা করেছে।

দৈনন্দিন জীবনে মুসলিমদের জন্য সময় ভাগ করে নেওয়ার সুন্নাহভিত্তিক উপায় হচ্ছে:

  • পাঁচ ওয়াক্ত নামাজকে কেন্দ্র করে সময় ভাগ করা
  • কুরআন তিলাওয়াত ও ইলম চর্চার জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ
  • পরিবার ও সমাজের হক আদায়ের পাশাপাশি আত্মোন্নয়নের দিকে নজর
  • অপ্রয়োজনীয় কথা, কাজ এবং প্রযুক্তির অপব্যবহার থেকে বিরত থাকা

টাইম ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে পরিকল্পনা, নিয়ত এবং প্রাধান্য নির্ধারণের গুরুত্বও ইসলাম শিক্ষা দেয়। একজন মুমিন তাঁর প্রতিটি কাজে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের নিয়তে অগ্রসর হন, যার মাধ্যমে দুনিয়াবি কাজও ইবাদতে পরিণত হয়।

বিশ্লেষকদের মতে, ইসলামিক টাইম ম্যানেজমেন্ট বাস্তবায়নের মাধ্যমে একজন মুসলিম ব্যক্তি সফল, সুশৃঙ্খল এবং ভারসাম্যপূর্ণ জীবন যাপন করতে পারেন। এর মাধ্যমে ব্যক্তিগত উন্নয়ন, পারিবারিক শান্তি ও সামাজিক দায়িত্ব—সবকিছুর মধ্যে স্থিরতা আসে।

আজকের প্রযুক্তিনির্ভর ব্যস্ত সময়ে একজন মুসলিম যদি ইসলামিক টাইম ম্যানেজমেন্ট পদ্ধতিকে বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করেন, তাহলে তা কেবল ব্যক্তিগত নয় বরং সমাজিক ও আধ্যাত্মিক উন্নয়নের পথও খুলে দেয়।

এনএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ