বিশ্বজুড়ে মানুষ যখন মানসিক চাপ, উদ্বেগ, হতাশা ও অস্থিরতায় ভুগছে, তখন একমাত্র ইসলামই এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা, যা মানুষকে দেয় অন্তরের গভীর থেকে মানসিক শান্তি ও আত্মার প্রশান্তি।
ইসলামে "সাকীনা" শব্দটি রয়েছে—যার অর্থই হলো আত্মিক প্রশান্তি। আল্লাহ তাআলা বলেন:
"আল্লাহ তিনি, যিনি মুমিনদের হৃদয়ে প্রশান্তি নাজিল করেন, যাতে তারা তাদের ঈমানের সঙ্গে আরও ঈমান বাড়িয়ে নেয়।"
— (সূরা ফাতহ: ৪)
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-এর মতে, মানসিক স্বাস্থ্য আজ বিশ্বব্যাপী একটি বড় সংকট। অথচ ইসলামের অনুসরণে একজন মানুষ জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে পায় স্বস্তি ও নিরাপত্তা।
ইসলাম কীভাবে মানসিক শান্তি নিশ্চিত করে?
১. নামাজ – মানসিক ভারমুক্তির সবচেয়ে বড় ওষুধ:
প্রতিদিনের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ মনের উপর জমে থাকা দুশ্চিন্তা দূর করে। নামাজে সেজদার সময় একজন মানুষ তার সব দুঃখ-কষ্ট আল্লাহর কাছে সমর্পণ করে।
২. তাওয়াক্কুল ও তাকদিরে বিশ্বাস:
যে ব্যক্তি বিশ্বাস করে—"যা হয়েছে বা হবে, সবই আল্লাহর হিকমতের অন্তর্ভুক্ত", তার জীবনে হতাশা আসে না। সে সর্বাবস্থায় শান্ত থাকে।
৩. দোয়া ও যিকির:
যিকির অর্থ মনে আল্লাহকে স্মরণ করা। এটি হৃদয়কে নরম ও প্রশান্ত করে তোলে। কুরআনে বলা হয়েছে:
"নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণে অন্তরসমূহ প্রশান্তি লাভ করে।" (সূরা রা’দ: ২৮)
৪. সরল জীবন ও আত্মতৃপ্তি:
ইসলাম মানুষকে অহংকার, লোভ ও অতিরিক্ত ভোগবিলাস থেকে বিরত রাখে, যা মানসিক অশান্তির মূল কারণ।
বিশ্বব্যাপী ইসলামের দিকে ফিরে আসছে মানুষ
বর্তমানে ইউরোপ-আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশে বহু মানুষ মানসিক শান্তির খোঁজে ইসলামের দারস্থ হচ্ছে। অনেকেই ইসলাম গ্রহণের পর বলছেন—"আমরা এখন মনে করি, সত্যিকারের শান্তি আমরা পেয়েছি।"
ইসলাম কেবল একটি ধর্ম নয়, বরং এটি এমন এক পথনির্দেশনা—যা মানুষের দেহ ও মনের চাহিদাকে একত্রে পূরণ করে। ইমান, ইবাদত, যিকির ও সন্তুষ্টিমূলক জীবনচর্চার মাধ্যমে একজন মুমিন পেতে পারেন প্রকৃত মানসিক শান্তি, যা এই দুনিয়ার অন্য কোনো পথেই পাওয়া সম্ভব নয়।
এনএইচ/