বৃহস্পতিবার, ০৫ জুন ২০২৫ ।। ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৯ জিলহজ ১৪৪৬


কোরবানির চামড়ার টাকা কী করবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সামর্থ্যবান ব্যক্তির ওপর কোরবানি আদায় করা ওয়াজিব। ইসলামের দৃষ্টিতে প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ মস্তিষ্কসম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী—যে ১০ জিলহজ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের ভেতরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে; তার ওপর কোরবানি করা ওয়াজিব।

অর্থ-কড়ি, টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, গহনা-অলঙ্কার, বসবাস ও খোরাকির অতিরিক্ত জমি, প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাবপত্র কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।

আর নেসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি। আর টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্তুর ক্ষেত্রে নিসাব হলো- এগুলোর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া ((এবছর টাকার অংকে ৯০ হাজার ৬১৫ টাকা))।

আর সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন অতিরিক্ত একাধিক বস্তু মিলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হয়ে যায়, তাহলেও কোরবানি করা ওয়াজিব। 

কোরবানি করার পর পশুর চামড়া ব্যবহারের উপযুক্ত করে কোরবানিদাতা নিজেই ব্যবহার করতে পারবেন। তবে যদি নিজে তা ব্যবহার না করে বিক্রি করে দেয় তাহলে সেই টাকা কোরবানিদাতা ব্যবহার করতে পারবেন না। বরং বিক্রিত মূল্য জাকাতের উপযুক্ত গরিব-মিসকিনদের নিঃস্বার্থ মালিকানায় দিয়ে দেওয়া ওয়াজিব। এই টাকা অন্য কোনো খাতে ব্যয় করা যাবে না। অন্য কোনো খাতে ব্যয় করলে গুনাহ হবে। 

কোরবানির পশুর চামড়ার টাকা উন্নয়নমূলক কাজ, রাস্তাঘাট মেরামত বা অন্য কোনো সমাজসেবামূলক কাজে ব্যয় করা যাবে না।

এমএইচ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ