বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫ ।। ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ ।। ৮ জিলহজ ১৪৪৬


বিশুদ্ধ কুরবানী পালনে সচেতনতা জরুরি : জাতীয় মুফতী বোর্ড ফাউন্ডেশনের সেমিনারে বক্তারা


নিউজ ডেস্ক

নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে কুরবানীর শরয়ী বিধান ও সমসাময়িক জটিলতা নিয়ে রাজধানীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে “কুরবানী শীর্ষক ফিকহী সেমিনার”। রবিবার (১ জুন) রাজধানীর কাফরুল, পূর্ব কাজীপাড়ার মারকাযুদ্ দিরাসাহ ইসলামিয়া প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ জাতীয় মুফতী বোর্ড ফাউন্ডেশন এ সেমিনারের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জামিয়া রহিমিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর-এর শায়খুল হাদীস মুফতী খোরশেদ আলম কাসেমী। প্রধান অতিথির ভিডিও বক্তব্য দেন বোর্ডের ভাইস-চেয়ারম্যান ও বসুধা গ্রুপের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতী আব্দুল হান্নান ফয়েজী।

সেমিনারের উদ্বোধনী বক্তব্য রাখেন বোর্ডের যুগ্ম মহাসচিব ও মারকাযুদ্ দিরাসাহ ইসলামিয়ার প্রিন্সিপাল মুফতী মামুন আব্দুল্লাহ্ কাসেমী। সঞ্চালনায় ছিলেন মুফতী সাঈদ কাদির।

সেমিনারে আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন—
মুফতী আব্দুল মতিন আহমদী, সভাপতি, জাতীয় মুফতী বোর্ড ঢাকা মহানগর ও শিকারপু মাদরাসা, বগুড়া;
মুফতী আবু বকর সিদ্দিক, মুহতামিম, রওজাতুল উলুম মাদ্রাসা, মিরপুর-১১, ঢাকা।

এছাড়াও মারকাযুদ্ দিরাসাহ ইসলামিয়ার শিক্ষক মুফতী ইমদাদুল্লাহ ও মুফতী লিয়াকত আলী লিখিত প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যেখানে কুরবানির শরয়ী বিধান, আধুনিক সমস্যাবলী এবং সমাধান নিয়ে আলোচনা করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী আব্দুল হান্নান ফয়েজী বলেন, “কুরবানির চামড়া ইসলামী শিক্ষাব্যবস্থার অর্থনৈতিক ভিত্তি। এই খাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি ও দাম কমিয়ে দেওয়া অনৈতিহাসিক। সরকার ও সংশ্লিষ্টদের চামড়ার ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে হবে।”

সভাপতির বক্তব্যে মুফতী খোরশেদ আলম কাসেমী বলেন, “প্রত্যেক মুসলমানের উচিত কুরবানীর মাসআলা ভালোভাবে জেনে-বুঝে পালন করা। ভ্রান্ত মত ও ইচ্ছেমতো ফতোয়া প্রচার করা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য।”

উদ্বোধনী বক্তৃতায় মুফতী মামুন আব্দুল্লাহ্ কাসেমী বলেন, “শরীয়তের আলোকে কুরবানী শুদ্ধভাবে সম্পন্ন করা মুসলমানদের ঈমানি দায়িত্ব। এই ধরনের ফিকহী সেমিনার সমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করবে।”

অনুষ্ঠানে কুরবানীর মাসায়েল সংবলিত একটি প্রাসঙ্গিক প্রস্পেক্টাসের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। সেমিনারে বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য, দেশের খ্যাতনামা আলেমগণ, মাদরাসা শিক্ষার্থী এবং সচেতন মুসলমানগণ অংশগ্রহণ করেন।

সবার অভিমত, বিশুদ্ধ আকীদা ও ফিকহ অনুযায়ী কুরবানী পালনে সচেতনতা জরুরি, যেন শরীয়তসম্মত ও মানবিক বিধানসমূহ সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয়।

এসএকে/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ