ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন ২০২৫ সালের হজ ফ্লাইটের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. খালিদ হোসেন হজযাত্রীদের সৌদি আরবের আইন-কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন এবং দেশ ও জাতির মর্যাদা রক্ষায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “হজযাত্রীরা যাতে যৌক্তিক খরচে সুষ্ঠুভাবে হজ পালন করতে পারেন, সেজন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নিবন্ধনসহ সকল কার্যক্রম সহজীকরণে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। আগামী বছর হজ ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।”

অনুষ্ঠান শেষে উপদেষ্টা উপস্থিত হজযাত্রীদের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

এদিকে, সোমবার দিবাগত রাত ২টা ১৫ মিনিটে বাংলাদেশের প্রথম হজ ফ্লাইট (এসভি ৩৮০৩) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সৌদি আরবের জেদ্দার উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে। সৌদি আরবের জাতীয় ক্যারিয়ার ‘সাউদিয়া’র মাধ্যমে এবছরের হজ ফ্লাইট কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। প্রথম ফ্লাইটে ৩৯৮ জন হজযাত্রী সৌদি আরব গমন করবেন।

প্রথম দিনে মোট ১০টি ফ্লাইটে ৪,১৮০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনায় পৌঁছাবেন। এর মধ্যে আটটি ফ্লাইট জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং দুটি ফ্লাইট মদিনার প্রিন্স মুহাম্মদ বিন আব্দুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করবে।

অনুষ্ঠানে ধর্ম সচিব একেএম আফতাব হোসেন প্রামানিকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন হজ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মতিউল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন, সচিব নাসরীন জাহান, বাংলাদেশে সৌদি দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স আবদুল আজিজ ফাহাদ এম. আল ইব্রাহিম, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া, হাবের সভাপতি সৈয়দ গোলাম সরওয়ার এবং মহাসচিব ফরিদ আহমদ মজুমদার।

অনুষ্ঠানে দুজন হজযাত্রী এবছরের হজ ব্যবস্থাপনায় নিজেদের সন্তুষ্টির কথা ব্যক্ত করেন। এছাড়া, হজ কার্যক্রমের ওপর একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

এবার বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী সৌদি আরবে হজ পালনের জন্য গমন করবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫ হাজার ২০০ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৮১ হাজার ৯০০ জন।

হজযাত্রী পরিবহনের জন্য তিনটি এয়ারলাইন্স মোট ২৩২টি প্রাক-হজ ফ্লাইট পরিচালনা করবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান ১১৮টি ফ্লাইটে ৪৪ হাজার ৩০৭ জন, সাউদিয়া ৮০টি ফ্লাইটে ৩২ হাজার ৭৪০ জন এবং ফ্লাইনাস ৩৪টি ফ্লাইটে ১৩ হাজার ৬৫ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। প্রাক-হজ ফ্লাইট শেষ হবে ৩১ মে এবং হজের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ফিরতি ফ্লাইট শুরু হবে ১০ জুন।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবছর ৫ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, এবছর হজযাত্রীদের জন্য বিশেষভাবে যোগাযোগ সুবিধা, হজ প্রিপেইড কার্ড ও মোবাইল সিম রোমিং সুবিধাসহ একটি আধুনিক মোবাইল অ্যাপ চালু করা হয়েছে।

এমএইচ/