সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ।। ১৬ বৈশাখ ১৪৩১ ।। ২০ শাওয়াল ১৪৪৫


ইফতারে পূর্বে দোয়া না পড়লে রোজা শুদ্ধ হবে ?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রহমত, মাগফেরাত ও নাজাতের বার্তা নিয়ে আগমন করেছে রমজান। মাসটি সংযম ও আত্মশুদ্ধির মাস। রমজানে রোজা রাখা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য আবশ্যক। রোজার অনেক ফজিলত রয়েছে। রোজাদারকে আল্লাহ নিজ হাতে পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা করেছেন।

হাদিসে কুদসিতে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, মানুষের প্রতিটি কাজ তার নিজের জন্য, কিন্তু রোজা এর ব্যতিক্রম। রোজা শুধু আমার জন্য, আমিই এর প্রতিদান দেব। (মুসলিম: ২৭৬০)।

আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন, হে মুমিন সকল। তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেমনিভাবে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপরও ফরজ করা হয়েছিল। যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার। (সূরা বাকারা-১৮৩)

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় রমজানের রোজা রাখে, (অন্য বর্ণনায়) ঈমানের সঙ্গে সওয়াবের আশায় তারাবির নামাজ পড়ে, তার অতীতের সকল গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়। (বুখারি শরিফ: হাদিস নং ১৯০১)

রোজা শুদ্ধ হওয়ার জন্য নিয়ত কি আবশ্যক ? 
রাসুলুল্লাহ সা. বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া ফিরিয়ে দেওয়া হয় না: ন্যায়পরায়ণ শাসক, রোজাদার যখন সে ইফতার করে এবং অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া।’ (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস: ১৭৫২)

রমজানে ইফতার গ্রহণের মাধ্যমে রোজাদার রোজা ভেঙে থাকেন। ইফতারের পূর্বে ও পরে কিছু দোয়া পড়তে হয়। ইফতারের কিছুক্ষণ পূর্বে এ দোয়াটি বেশি বেশি পড়তে হয়।

    يَا وَا سِعَ الْمَغْفِرَةِ اِغْفِرْلِىْ

উচ্চারণ : ইয়া ওয়াসিয়াল মাগফিরাতি, ইগফিরলী।

অর্থ : হে মহান ক্ষমা দানকারী! আমাকে ক্ষমা করুন।

ইফতার করার জন্যও রয়েছে দোয়া। যার মাধ্যমে নেকি লাভ করা যায়। দোয়াটি হলো-

اللهم لك صمت و على رزقك افطرتاللهم لك صمت و على رزقك افطرت

উচ্চারণ- আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া তাওয়াক্কালতু আ'লা রিজক্বিকা ওয়া আফতারতু বি রাহমাতিকা ইয়া আর হামার রা-হিমীন।

অর্থ- হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।

ইফতারে এই দোয়াও পড়া যায়। তা হলো-

اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ

উচ্চারণে : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়ালা রিজকিকা আফতারতু

অর্থ : হে আল্লাহ। আপনার জন্য আমি রোজা রেখেছি, আপনার রিজিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ, সাওম অধ্যায়)

ইফতার করার সময় বা ইফতার করার পরে আরেকটি দোয়ার কথা হাদিসে এসেছে।

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সা. ইফতার করাকালীন এই দোয়াটি করতেন।

ইফতার করাকালীন বা পরবর্তী দোয়া

ذَهَبَ الظَّمَاءُ وَابْتَلَتِ الْعُرُوْقُ وَ ثَبَتَ الْأَجْرُ اِنْ شَاءَ اللهُ

উচ্চারণে : জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।

অর্থ : (ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সওয়াবও স্থির হলো ‘ (আবু দাউদ, মিশকাত)।

ইফতারের পূর্বে এবং পরে দোয়া পড়া সুন্নত। তবে কেউ দোয়া না পড়লেও রোজার কোনো ক্ষতি হবে না। রোজা শুদ্ধ হয়ে যাবে।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ