মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫ ।। ৪ কার্তিক ১৪৩২ ।। ২৯ রবিউস সানি ১৪৪৭

শিরোনাম :
আবারও ‍খুলে দেওয়া হচ্ছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত স্বাধীন দেশে থেকেও আমরা ছিলাম পরাধীন: ফয়জুল করীম নোয়াখালীতে কোরআন তালিমে হামলার প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ মিছিল ইসরায়েলকে কঠিন পরিণতির হুঁশিয়ারি ইয়েমেনের  সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্মানী/ভাতা পুনঃনির্ধারণ: অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন এবার এক টাকা কেজি গরুর গোশত বিক্রির ঘোষণা এমপি প্রার্থীর! ‘দায়সারা গোছের তামাশার নির্বাচন জনগণ মেনে নেবে না’ নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজন করার উদ্যোগ নিন আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল শায়খ আহমাদুল্লাহর আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও তরুণ প্রজন্মের দিকভ্রান্তি

জুমার দিন: মুমিনের সাপ্তাহিক ঈদের দিন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার
ছবি : সংগৃহীত

ইসলামের দৃষ্টিতে পবিত্র জুমা ও জুমাবারের রাত-দিনের রয়েছে অপরিসীম গুরুত্ব। জুমার দিনের সওয়াব ও মর্যাদা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার মতো। এ দিন ইসলামি ইতিহাসে বড় বড় ও মহৎ কিছু ঘটনা ঘটেছে। জুমার গুরুত্ব আল্লাহ তা’আলার কাছে এতখানি যে, পবিত্র কুরআনে ‘জুমা’ নামে একটি স্বতন্ত্র সুরা নাজিল করা হয়েছে।

আল্লাহ তা’আলা কুরআনে ইরশাদ করেন, ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের আহ্বান জানানো হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণে (মসজিদে) এগিয়ে যাও এবং বেচা-কেনা (দুনিয়াবি যাবতীয় কাজকর্ম) ছেড়ে দাও। এটা তোমাদের জন্য কল্যাণকর; যদি তোমরা জানতে।’ (সূরা জুমা : ০৯)।

রাসুল সা. একটি হাদিসে বলেছেন, ‘মুমিনের জন্য জুমার দিন হলো সাপ্তাহিক ঈদের দিন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৯৮)।
রাসুল সা. আরাে বলেছেন, ‘মহান আল্লাহর কাছে জুমার দিনটি ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার দিনের মতো শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনটি আল্লাহর কাছে অতি মর্যাদাসম্পন্ন।’ (ইবনে মাজাহ, হাদিস নম্বর ১০৮৪)।

 

এক হাদিসে নবী সা. ইরশাদ করেছেন, যে দিনগুলোতে সূর্য উদিত হয়, ওই দিনগুলোর মধ্যে জুমার দিন সর্বোত্তম। ওই দিন হজরত আদমকে আ. সৃষ্টি করা হয়েছে। ওই দিন তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো হয় এবং ওই দিনই তাকে জান্নাত থেকে বের করে দেওয়া হয়। আর ওই দিনই কিয়ামত অনুষ্ঠিত হবে। (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৪)।

হাদিসে আরও এসেছে, ‘আল্লাহ তা’আলা জুমার দিনের গুরুত্ব সম্পর্কে আমাদের আগের লোকদের উদাসীন রেখেছেন। ফলে ইহুদিদের জন্য শনিবার, আর খ্রিস্টানদের জন্য রোববার।’ (মুসলিম শরিফ, হাদিস নম্বর ৮৫৬)

মহানবী সা. আরো ইরশাদ করেছেন, ‘জুমার দিন দোয়া কবুল হওয়ার একটি সময় আছে, কোনো মুসলিম যদি সেই সময়টা পায়, আর তখন যদি সে নামাজে থাকে, তাহলে তার কোনো কল্যাণ কামনা আল্লাহ পূরণ করেন।’ (বুখারি, হাদিস নম্বর ৬৪০০)।

জুমার গুরুত্ব ও তাৎপর্য বিবেচনা করে প্রতিটি মুসলিমের উচিত এই দিনটিকে কাজে লাগানো। এই দিনে নিজের জন্য এবং সমগ্র মানবতার জন্য কল্যাণ-সৌভাগ্য ও উন্নতির দোয়া করা।

এনএ/


সম্পর্কিত খবর

সর্বশেষ সংবাদ